অগামী ৩০ ডিসেম্বর পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি পৌর নির্বাচনের প্রচারণা জমে উঠেছে। খাগড়াছড়ি পৌর নির্বাচনে দলীয় ও স্বতন্ত্র মেয়র পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ৫ জন এবং কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছের ৪৫ জন। এদিকে পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মেয়র প্রার্থীরা সর্বত্র চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার প্রচারণার কাজ। থেমে নেই কাউন্সিলর প্রার্থীগণও। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগও দিচ্ছেন। পৌর নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হলেন, শানে আলম, বিএনপি থেকে মো. আ: মালেক এবং জাতীয় পার্টি থেকে মোহাম্মদ ইসহাক। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন, রফিকুল আলম ও কিরন মারমা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শানে আলম গত উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হন। কিন্তু এবারের পৌর নির্বাচনে তিনি জয়ী হবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন। বিএনপির এক অংশের প্রার্থী মো. আ: মালেক বলেন, দলীয়ভাবে আমাকে মনোনীত করা হয়েছে এবং দল থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি। নির্বাচনে আমিই জয়ী হব। অন্যদিকে বিএনপির আরেক অংশে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, আমাদের মনোনীত প্রার্থীকে নির্বাচনের জন্য মনোনীত করেনি। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রয়োজনে স্বতন্ত্র প্রার্থীকেই ভোট দিব। জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ ইসহাক বলেন, দলীয়ভাবে আমাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। নির্বাচনে জয় পরাজয় আছে। হারলেও আমার কোনো আপসোস নেই। তাছাড়া বর্তমানে আমার অবস্থান অন্যদের চেয়ে অনেক ভালো। স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল আলম বলেন, গত পৌর নির্বাচনে খাগড়াছড়ি পৌরবাসী আমাকে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করেছিলেন। নির্বাচিত হয়ে পৌর এলাকার অনেক উন্নয়ন করেছি। এবারও যদি সুষ্ঠু, সুন্দর ও সঠিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে আমি জয়ী হবো। অপরদিকে, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী কিরন মারমা বলেন, এবারের নির্বাচনে নির্বাচিত হলে আমি আমার সংগঠনকে আরো সু-সংগঠিত করে তুলবো। এমএএস/আরআইপি
Advertisement