বঙ্গোপসাগরের সীমান্ত থেকে বাংলাদেশি তিনটি ট্রলারসহ ২০ জেলে ও মাঝিকে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ধরে নিয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
Advertisement
সোমবার (৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণে মিয়ানমারের সিটওয়ে ( আকিয়াব) শহরের মংডু এলাকার আংডাং-কুলুং উপকূল থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায়।
আটকে রাখা তিনটি ট্রলার টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যং পাড়ার ফজল করিম, ৭ নম্বর ওয়ার্ড চৌধুরী পাড়ার সালমান ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ জালিয়া পাড়ার মো. ছৈয়দের।
ফজল করিমের ছেলে নুরুল ইসলাম বলেন, ৫ নভেম্বর আমার বাবা নিজ ট্রলার নিয়ে মাছ শিকারে বের হন। কিন্তু ৮ নভেম্বর দুপুরে জানা যায় বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমার সীমান্তে আংডাং কুলুং এলাকা থেকে বিজিপি সদস্যরা আমাদেরটাসহ তিনটি বাংলাদেশি মাছ ধরার ট্রলার ধরে নিয়ে গেছে। সেখানে ১৮-২০ জন জেলেও আছেন।
Advertisement
একটি সূত্র জানা যায়, প্রতি ট্রলারে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বিজিপি। তা নিয়ে দেনদরবারের কারণে ট্রলার সংশ্লিষ্টরা কেউ মুখ খুলছে না। বিষয়টি প্রশাসনকেও অবহিত করা হয়নি।
এ বিষয়ে কোস্টগার্ডের এক কর্মকর্তা বলেন, মাঝিমাল্লাসহ ট্রলারগুলো নিয়ে যাওয়ার খবর শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে ট্রলার মালিক কর্তৃপক্ষ এখনো যোগাযোগ করেনি।
কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার নাইম বলেন, মাঝি-জেলেসহ ট্রলারগুলো নিয়ে যাওয়ার খবর শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
বিজিবি টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের উপ-পরিচালক লে. এম মোহতাসিম বিল্লাহ শাকিল বলেন, তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।
Advertisement
এর আগে, একই পয়েন্ট থেকে চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে টেকনাফ পৌর সভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড চৌধুরী পাড়ার নুরুল বশর মিজ্জির ছেলে মো. রফিকেরসহ আরও তিনটি ট্রলার আটকে রেখে মাছ কেড়ে নিয়ে ছেড়ে দিয়েছিল বিজিপি।
এসজে/এমএস