টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নারাজ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রেসিডেন্ট নাজমুল হোসেন পাপনও। তিনি জানিয়েছেন ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির প্রস্তাবিত বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট সিরিজ জানুয়ারিতে নাও হতে পারে। বিশ্বকাপের কারণে টেস্টের পরিবর্তে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার গুরুত্বের কথা বিবেচনা করেই এই তথ্য জানান তিনি। এমনটা হলে পূর্ব নির্ধারিত এই টেস্ট সিরিজ বিশ্বকাপের পরে মে-জুন মাসে আয়োজন করা হবে বলেও জানান বিসিবি প্রেসিডেন্ট। তবে বোর্ডে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে দলের কোচ হাতুরুসিংহে এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।একটি টিভি মিডিয়াকে পাপন বলেন, ‘ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি আমাকে জানিয়েছে, তারা টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি দুটোই খেলতে চায়; কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তারা প্রথমে টি-টোয়েন্টি এবং পরে টেস্ট ম্যাচ খেলতে চায়। এর মানে তারা এশিয়া কাপের আগে টেস্ট খেলতে চায়- যা অনেকটাই অসম্ভব। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের জন্য এই সময়ে মাঠ নিয়েও রয়েছে অনেক সমস্যা।’বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি জানিয়েছে, তারা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি টেস্ট এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আয়োজন করতে চায় এবং ম্যাচগুলি সিলেট এবং খুলনায় আয়োজন করার কথাও জানিয়েছে তারা। খুলনায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচ রাখা হয়নি। তবে সিলেটে বিশ্বকাপের পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।একই সঙ্গে পাপন জানুয়ারির ওই সময়ে সূচি নিয়েও উদ্বিগ্ন রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজ থাকায় জিম্বাবুয়ে দল ১৪জানুয়ারির আগে বাংলাদেশে আসতে পারবে না। টেস্ট ম্যাচ খেলার জন্য ইতিবাচক সাড়া দিলেও তারা শুধুমাত্র টি-টোয়েন্টি খেলতে চায় বলে জানিয়েছে। অন্যসব দেশগুলোর মত টেস্ট এবং ওয়ানডেতে দুটি ভিন্ন দল পাঠায় জিম্বাবুয়ে; কিন্তু আমাদের প্রায় দুটি দলই একরকম। যদি তারা ১৪ জানুয়ারির আগে না আসে তাহলে সমস্যা আরও গুরুতর হবে।”৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলার জন্য সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহিম তখন দুবাইয়ে থাকবেন। এই সমস্যার পাশাপাশি র্যাংকিং সমস্যাকেও গুরুত্ব দিলেন পাপন। তিনি বলেন, ‘আমরা টি-টোয়েন্টি খেলতে চাই; কিন্তু একই সময়ে পাকিস্তানে লিগ থাকবে- সেখানে আমাদের সাকিব, তামিম এবং মুশফিক খেলবে। আমরা কি তাদের ছাড়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট খেলবো? আমাদের র্যাংকিং পয়েন্টের গুরুত্বের কথা বুঝতে হবে। আমরা জিতলে কিছুই পাবনা। কিন্তু হারলে ছয়টি মূল্যবান পয়েন্ট হারাবো। তাই এই বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে।”বিশ্বকাপের পরে বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে অনেক সময় জুড়েই কোনো খেলা নেই। তাই তাড়াহুড়ো না করে ওই সময়ে টেস্ট সিরিজ আয়োজন করতে চান বিসিবি সভাপতি।‘এশিয়া কাপের ঠিক আগেই খেলোয়াড়রা ম্যাচ খেলতে চাইবে না। তারা আগে টেস্ট খেলতে চাইবে পরে টি-টোয়েন্টি। আমরা টেস্ট ক্রিকেটের গুরুত্বকে অবহেলা করছিনা আমরা গত বছর অনেক টেস্ট ম্যাচ খেলেছি। আমরা মে-জুনের দিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ খেলবো। এটা নিয়ে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। ওই সময়ে উভয় দলেরই কোনো খেলা নেই। আমরা দলের প্রত্যেকের সঙ্গে আলোচনা করবো কোনটা আমাদের জন্য ভালো হবে।”আরটি/আইএচইএস/আরআইপি
Advertisement