দেশজুড়ে

ধামরাইয়ে ১৫ ইউপির বেশিরভাগ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ

ঢাকার ধামরাই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ১৫টিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর)। ১৫৫ কেন্দ্রের ৬৮০টি কক্ষে চলবে ভোট গ্রহণ। তবে নির্বাচনের আগে সহিংসতায় এলাকায় আতংকের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান স্থানীয় ভোটাররা।

Advertisement

এরই মধ্যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের অভিযোগ, ক্ষমতাসীনদের ভয়ে ঠিকমতো প্রচারণা চালাতে পারছেন না তারা। এছাড়া নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর, কর্মী-সমর্থকদের মারধর, ভয়ভীতি ও হুমকির অভিযোগও করেন তারা।

এসব বিষয়ে জানিয়ে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে ভুক্তভোগী প্রার্থীরা জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন জানিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে, কুল্লা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে অন্য প্রার্থীর পোস্টার লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। রোয়াইল ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম সামসুদ্দিন মিন্টুর ক্যাম্পে গুলিবর্ষণ, বালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মধুর মাইক্রোবাসসহ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর, আমতা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। যাদবপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আ. মজিদের কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

এছাড়া সোমভাগ, কুশুরা, সূয়াপুর, নান্নার, গাঙ্গুুটিয়া, চৌহাট, ভাড়ারিয়াসহ কয়েকটি ইউনিয়নে হামলা ও মামলার ঘটনা ঘটছেই। এতে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ নিয়ে শঙ্কায় ভুক্তভোগী প্রার্থীসহ সাধারণ ভোটাররা।

এদিকে ইউপি নির্বাচনে উপজেলার বেশিরভাগ কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, চৌহাট, বালিয়া, সোমভাগ, কুশুরা, বাইশাকান্দা, কুল্লা ও যাদবপুর ইউনিয়নের প্রায় সবকটি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ঢাকা জেলার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনির হোসাইন খান বলেন, অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ নজর রয়েছে। সেখানে স্পেশাল ফোর্স থাকবে। সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।

Advertisement

ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সিকদার বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। কেউ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে চাইলে সে যে দলেরই হোক না কেনো ছাড় দেওয়া হবে না।

জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘ভোটাররা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবে এবং নির্ভয়ে বাড়ি ফিরবে’ সে দায়িত্ব নিয়েই মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্টকারী যে দলেরই হোক না কেন তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।

ইউএইচ/জেআইএম