দেশজুড়ে

কেয়ারটেকারের বিরুদ্ধে মালিকের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

সম্পত্তি দেখাশোনার জন্য বসতঘর নির্মাণ করে রাখা হয় কেয়ারটেকার। সেই কেয়ারটেকারই এখন জমি দখল করে আছেন। জমির মালিক কোনোভাবেই তাকে সরাতে পারছেন না। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে সুরাহার সিদ্ধান্ত হলেও তা মানছেন না ওই কেয়ারটেকার। এমনকি উল্টো মামলা দিয়ে জমির প্রকৃত মালিককে হয়রানি করছেন তিনি।

Advertisement

সোমবার (৮ নভেম্বর) সকালে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন জমির প্রকৃত মালিকানা দাবিকারী চন্দ্রিমা রিমু। তিনি ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে ট্রেড প্রশিক্ষক পদে কর্মরত।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিমুর বোন মরিয়ম সিমু, অটোরিকশাচালক নবাব আলী হাওলাদার, প্রতিবেশী কামাল হোসেন ও গৃহকর্মী তানিয়া বেগম। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে চন্দ্রিমা রিমু বলেন, তিনি রাজাপুর উপজেলার পশ্চিম নৈকাঠি এলাকার মিল্লাত হোসেনের মেয়ে এবং আইনজীবী আব্দুস সাত্তার সিকদারের স্ত্রী। তার স্বামী ১৯৯৫ সালে ১৩ শতাংশ জমি কেনেন। চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি স্বামীর কাছ থেকে তিনি ওই জমির মালিকানা নেন। পরে ২০০৫ ও ২০০৬ সালে তার নামে বিএস রেকর্ড সম্পন্ন হয়। সম্পত্তি দেখাশোনার জন্য তিনি তার স্বামীর সৎবোনের ছেলে শহিদুল ইসলামকে কাঠের ঘর তুলে দিয়ে কেয়ারটেকার নিয়োগ করেন। সেই ঘরেই শহিদুল পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। শহিদুল ঢাকায় একটি বাড়ির পাহারাদার হিসেবে চাকরি পেলে তার মা, স্ত্রী ও সন্তানকে ওই জমি দেখাশোনার জন্য রেখে যান।

রিমুর অভিযোগ, জমিতে তিনি ভবন নির্মাণের প্রস্তুতি নিলে শহিদুলকে কেয়ারটেকারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করেন এবং জমির মালিকানা দাবি করেন। গত ৪ নভেম্বর তিনি শ্রমিক পাঠিয়ে ভবনের নির্মাণের কাজ শুরু করলে শহিদুল লোকজন নিয়ে বাধা দেন। পরে তিনি উল্টো বাদী হয়ে রাজাপুর থানায় ২২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় তাকেসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়। রোববার (৭ নভেম্বর) ঝালকাঠির আদালত থেকে তারা জামিনে মুক্ত হন। রিমু বলেন, আদালত থেকে যাতে আমাদের জামিন না হয় শহিদুল সে চেষ্টা করেছেন। তার লোকজন দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করিয়ে সম্মানহানি করছেন। তারা আমার জমি জোর করে দখলে নিয়ে উল্টো আমার বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ করেছেন। আমি আমার জমি দখলমুক্ত ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।

Advertisement

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, আমার নানার সম্পত্তি মামা আব্দুস সাত্তার সিকদার জালিয়াতির মাধ্যমে রেকর্ড করে নেন। তারপর আবার তার স্ত্রী চন্দ্রিমা রিমুকে দান করেন। সেই জমিতে আমরা ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে সপরিবারে বসবাস করে আসছি। কয়েক মাস আগে মা মারা গেলে তাকেও সেখানে দাফন করেছি। গত ৪ নভেম্বর অস্ত্রসহ হামলা চালিয়ে আমার বাড়িতে লুটপাট করা হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

আতিকুর রহমান/এসআর/জিকেএস