বায়ুমণ্ডলের অধিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পৃথিবীর জন্য নতুন বিপত্তি ডেকে আনছে। এতে করে বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যে জলবায়ু ঝুঁকিতে পড়বে।
Advertisement
সোমবার (৮ নভেম্বর) স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোর স্কটিশ ইভেন্ট সেন্টারে ‘জাতিসংঘ সমর্থিত রেস টু রেজিলিয়েন্স ক্যাম্পেইনে’ এ তথ্য জানানো হয়।
রেস টু রেজিলিয়েন্সের জন্য করা এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে আসে বলে জানিয়েছে কপ। গবেষণায়, বিশ্বজুড়ে মানুষের জন্য জলবায়ু ঝুঁকির সম্ভাব্য প্রভাব মূল্যায়ন করা হয়েছে।
কপ জানায়, জাতিসংঘ সমর্থিত রেস টু রেজিলিয়েন্স ক্যাম্পেইন ২০৩০ সালের মধ্যে ৪ বিলিয়ন লোকের জলবায়ু প্রভাব মোকাবিলায় মেট্রিক্স কাঠামো চালু করেছে, যা যেকোনো রাষ্ট্রীয় শহর, ব্যবসা এবং অঞ্চলের জলবায়ুর প্রভাব পরিমাপ করতে পারবে।
Advertisement
ম্যাককিন্সি অ্যান্ড কোম্পানির সঙ্গে চিলি বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু সেন্টার গবেষণা কাজটির সঙ্গে জড়িত। এ গবেষণা প্রাকৃতিক ও জলবায়ুর সুবিধাগুলো স্বচ্ছভাবে পরিমাপ এবং যাচাই করতে হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে। পাশাপাশি ম্যানগ্রোভ বন এবং উপকূলীয় অঞ্চলসহ ১০০টিরও বেশি প্রাকৃতিক ব্যবস্থা মেট্রিক্স ফ্রেমওয়ার্কের মাধ্যমে গড়ে তোলা হবে, যাতে পৃথিবীকে রক্ষা করা যায়।
গবেষণায় বলা হয়, বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যে জলবায়ু ঝুঁকির সম্মুখীন হবে, যা এখনই বেড়ে ৪৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পদের যে ক্ষতি করছে ২০৩০ সালে তার থেকে দ্বিগুণ করবে।
জাতিসংঘ সমর্থিত রেস টু রেজিলিয়েন্স ক্যাম্পেইনের তথ্য মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪ বিলিয়ন মানুষ জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাবের মধ্যে পড়বে। ফলে শহর, ব্যবসা, অঞ্চল ও কর্মে প্রভাব পড়বে। পৃথিবীতে তাপমাত্রার পরিমাণ না কমানো গেলে একদিকে যেমন এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য বসবাস অযোগ্য হবে অন্যদিকে ইউরোপ ও আমেরিকা মহাদেশ বরফগলা পানিতে প্লাবিত হবে। এজন্য কপ সম্মেলন থেকে জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় সব দেশকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
এমওইএস/এমআরআর/জিকেএস
Advertisement