ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক ও শিক্ষানুরাগী ছিলেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও বিদেশিদের শাসন থেকে মুক্ত হতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।
Advertisement
সোমবার (৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সাদেক হোসেন খোকা ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন বক্তারা।
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, সাদেক হোসেন খোকা আমার ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তার সঙ্গে চলা সময়টুকু আমার রাজনৈতিক জীবনে আজ বেশ কাজে লাগছে। খোকা ভাই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করতেন। একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক ছিলেন।
ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার স্ত্রী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. শাহেদা রফিক বলেন, সাদেক হোসেন খোকার একটি বিশেষ গুণ হয়তো অনেকেই জানেন না। তিনি একজন প্রকৃত শিক্ষানুরাগী মানুষ ছিলেন। আমি একটি ইনস্টিটিউটের পরিকল্পনা করি। তখন এতে সহযোগিতা করলেন সাদেক ভাই। তিনি তার বিভিন্ন যন্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করলেন।
Advertisement
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য সাদেক হোসেন খোকাদের মতো মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছিলেন। সার্বভৌমত্ব রক্ষার রাজনীতি এখনো দরকার। এটি সাদেক হোসেন খোকা বুঝতে পেরেছিলেন আগেই। আপনাদেরও এটি বুঝতে হবে। আপনাদের দলের নেতারা বুঝতে পারছে না বলেই বর্তমান এ অবস্থা।
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, বর্তমানে অনেক প্রবীণ রাজনীতিবিদ রয়েছেন, যারা ছাত্রজীবনে একই সংগঠন করতেন। আজ একেকজন একেক রাজনৈতিক দলে রয়েছেন। তাদের মধ্যে তখন সামাজিকতা ছিল। কিন্তু এখন সেটি নেই। আওয়ামী লীগ এ অবস্থাটা আজ রাজনীতিতে তৈরি করেছে।
সাদেক হোসেন খোকা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বড় চ্যালেঞ্জ সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। কোনো রাষ্ট্রের দাসত্বের জন্য মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেননি। তারা দেশ স্বাধীন করেছেন বিদেশি রাষ্ট্রের দাসত্ব থেকে মুক্তির জন্য।
সভায় ফাউন্ডেশনের সদস্যসহ বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতা উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
আরএসএম/এমআরআর/জিকেএস