জাতীয়

‘বোন মারা গেছে তাই বের হইছি, এখন বাস পাই না’

চাচাতো বোনের মৃত্যুর খবর শুনে বের হন মিতা বেগম। সঙ্গে ছেলে ও স্বামী মো. সুমন। রাজধানীর মিরপুর থেকে পুরান ঢাকা যাবেন। কিন্তু সড়কে নেমে দেখেন বাস নেই। তাই ফার্মগেটে দাঁড়িয়ে ছিলেন তারা।

Advertisement

মিতা বেগম বলেন, ‘বোন মারা গেছে তাই রাস্তায় বের হইছি, এখন গাড়ি পাই না। গুলিস্তান যেতে পারলেও হতো, বাকি পথ হাইটা যাইতাম।’ রোববার (৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কথা হয় তার সঙ্গে।

এদিকে বাংলাদেশে ডিজেল-কেরোসিনের দাম পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার। লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পর নতুন দাম ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পরদিনই এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন পরিবহন মালিকরা। এরপর শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে শুরু হয় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট। এতে তিনদিন ধরেই বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ।

Advertisement

ধর্মঘটের তৃতীয় দিনেও রাজধানীতে কর্মব্যস্ত মানুষের ভোগান্তি চোখে পড়ে। অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করেও পাচ্ছিলেন না যান। এমনই এক দম্পতি সুমন-মিতা।

ফার্মগেটে বিআরটিসির কমপক্ষে তিনটি বাসে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে ওঠার চেষ্টা করছিলেন মো. সুমন। কিন্তু ভিড়ের কারণে বাসে ওঠার অবস্থা নেই।

মো. সুমন বলেন, আমরা মিরপুর-১০ এ থাকি। পুরান ঢাকায় থাকে আমার স্ত্রীর চাচাতো বোন। তার মৃত্যুর খবর শুনে সকালে বের হয়েছি বাসা থেকে। এ অবস্থায় রাস্তায় কোনো বাস না থাকায় চিন্তা করলাম সরাসরি সিএনজি নিয়ে চলে যাবো। কিন্তু সিএনজি ৩০০ টাকার ভাড়া চায় ৭০০ টাকা। বিপদে পড়ে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া বললেও আসেনি।

তিনি আরও বলেন, মিরপুর-১০ থেকে দেড়শ টাকা দিয়ে সিএনজিতে আসলাম ফার্মগেটে। এখানে এসে মনে করেছিলাম বাসে যাব। কিন্তু যে অবস্থা দেখছি বাসে ওঠাই যাবে না। এতো ভিড় বাচ্চাসহ ওঠা মুশকিল।

Advertisement

আরএসএম/জেডএইচ/জিকেএস