একাত্তরে সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগে ধ্বংসসহ মানবতাবিরোধী অপরাধর অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরে পালাতক জামায়াতের সাবেক এমপি আবু সালেহ মুহা. আব্দুল আজিজ মিয়া ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।ছয়জনের বিরুদ্ধে মোট ছয় খন্ডে আটশত ৭৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। মামলায় মোট ২৮ সাক্ষী রাখা হয়েছে। ২০১৪ সালের ২৬ অক্টোবর তদন্ত শুরু করে ২৭ ডিসেম্বর শেষ করা হয়। সোমবার প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে দাখিল করা হবে।আসামীরা হলেন, জামায়াতের সাবেক এমপি আবু সালেহ মুহা. আব্দুল আজিজ মিয়া ওরফে ঘোড়ামারা আজিজ (৬৫), মো. রুহুল আমিন ওরফে মঞ্জু (৬১), মো. আব্দুল লতিফ (৬১), আবু মুসলিম মোহাম্মদ আলী (৫৯), মো. নাজমুল হুদা (৬০), মো. আব্দুর রহিম মিঞা (৬২), থানা সুন্দরগঞ্জ, জেলা গাইবান্ধা।তবে মো. নাজমুল হুদা বর্তমানে বাসা নং ৪৬, কাজীপাড়া রোড, খরতৈল পশ্চিম পাড়া, পো: সাতাইশ, ওয়ার্ড নং-৫১, থানা টঙ্গী, জেলা গাজীপুর এবং মো. আব্দুর রহিম মিঞা বর্তমানে বাসা নং ১০৬, বালুয়াডাঙ্গা, রোড নং-২, থানা কোতয়ালী, দিনাজপুর পৌরসভা।মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তারা জামায়াতের নেতা কর্মী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তান দখলদার বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য শান্তি কমিটি ও সশস্ত্র রাজাকার বাহিনীতে তারা যোগদান করেন।অন্যান্য রাজাকার বাহিনী ও পাকিস্তান দখলদার সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় এবং কখন কখনও একক ভাবে এলাকায় হত্যা, গণহত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগসহ মানবতা বিরোধী অপরাধ করেন। আসামীর বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ থানাসহ তাদের নিজ বাড়ী অবস্থিত সংশ্লিষ্ট থানায় মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলা করা হয়। আসামীরা বর্তমানে পলাতক আছেন।এফএইচ/এএইচ/আরআইপি
Advertisement