জাতীয়

সংস্কৃতির সুষ্ঠু বিকাশের মাধ্যমে মননশীল জাতি গড়ে ওঠে

মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, মানুষের মননশীলতা সৃষ্টিতে শিল্পকলার বিকল্প নেই। শিল্প-সংস্কৃতির সুষ্ঠু বিকাশের মধ্য দিয়েই মননশীল জাতি গড়ে ওঠে। খুলনা শিল্পকলা একাডেমি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।প্রতিমন্ত্রী রোববার দুপুরে খুলনা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা-২০১৪ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাংস্কৃতিক বিকাশ না হলে মানুষ ইতিবাচক চিন্তা করতে পারে না। এর অভাবে সমাজে সৃষ্টি হয় বিশৃঙ্খলা, মারামারি ও হানাহানি। শিল্পকলা আমাদের দেয় নির্মল আনন্দ। পুরানো দিনের একটি গান এখনো আমাদের উপলব্ধিকে জাগ্রত করে, গভীর তন্ময় হয়ে আমরা সে গানগুলো শুনি। গুণীজনদের মূল্যায়ন না করলে গুণীজন তৈরি হয় না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এ সম্মাননা নতুন প্রতিভার বিকাশে সহায়ক হবে। একই সঙ্গে সৃজনশীল সাংস্কৃতিক চর্চাকে আরও বেগবান করবে। খুলনার নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের জাতির অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য তিন আহ্বান জানান।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ এবং খুলনা জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশিদ। সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি মো. মোস্তফা কামাল। স্বাগত বক্তৃতা করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সভাপতি মকবুল হোসেন মিন্টু।অনুষ্ঠানে কণ্ঠ সঙ্গীতে ওস্তাদ আবদুল মালেক চিশতী, নাট্যকলায় এসএম মতিউর রহমান, নৃত্যকলায় উষা সরকার, ফটোগ্রাফিতে মো. নুরুল হক লাবলু এবং যন্ত্রশিল্পে নিখিল কৃষ্ণ মজুমদারকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। পরে প্রধান অতিথি সম্মাননাপ্রাপ্ত ৫ গুণী শিল্পীর হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।আলমগীর হান্নান/এসএস/আরআইপি

Advertisement