দেশজুড়ে

একদিনেই দুই ডোজ টিকা দেওয়ার অভিযোগ

 

রাজশাহীতে নূরজাহান বেগম (৫০) নামের এক নারীকে একদিনেই করোনার দুই ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে দূর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে এ টিকা দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

Advertisement

নুরজাহান বেগম বলেন, ‘এক মাস আগে আমি প্রথম ডোজ টিকা নিই। এরপর গত মঙ্গলবার দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসি। এ সময় টিকার কাগজ না দেখেই আমাকে এক ডোজ টিকা দেওয়া হয়। পরে কাগজ দেখে দায়িত্বরত কর্মীরা বলেন, আপনার তো প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে, এবার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া লাগবে। তখন আমাকে আরও এক ডোজ টিকা দেওয়া হয়। আমি যখন তাকে জিজ্ঞেস করি, আমাকে দুইটা টিকা দিলেন কেনো? তিনি তখন আমাকে তাড়াতাড়ি হাসপাতাল থেকে বের করে দেন।’

তিনি বলেন, ‘বাড়ি ফেরার পর আমার হাত ফুলে যায় ও শরীরে তীব্র ব্যথা শুরু হয়। একই সঙ্গে মাথা ঘুরতে থাকে এবং চোখে ঝাপসা দেখতে শুরু করি। এরপর আমার ছেলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসকের পরামর্শে আমাকে ওষুধ খাওয়ায়। এখন হাতের ফোলা কমে গেছে। কিন্তু এখনো শরীর অনেক দুর্বল আর চোখে ঝাপসা দেখছি।’

এ বিষয়ে জানতে দূর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাহবুবা খাতুনের ফোন নম্বরে একাধিবার কল করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তিনি বর্তমানে ছুটিতে আছেন।

Advertisement

ওই সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকা প্রদানকারী কর্মকর্তা নাসরীন আক্তার টিকাদানের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘একসঙ্গে দুই টিকা দেওয়ার মতো ভুল কোনোভাবেই হতে পারে না। আমরা কার্ড দেখেই টিকা প্রদান করি। কোনো কর্মীই এমন ভুল করতে পারেন না।’

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মকর্তা জানান, ‘ভুক্তভোগী নারীর পরিবার থেকে আমাকে ফোন করা হয়েছিল। টিকা গ্রহণের ফলে তার শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। আমি তাকে কিছু ওষুধ সেবনের পরামর্শ দিই। বর্তমানে তার শরীরের ফোলা কমেছে। কিন্তু দুর্বলতা ও চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যা এখনও রয়েছে বলে জেনেছি।’

রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. মো. কাইয়ুম তালুকদার বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি শুনেছি। শোনার পর থেকেই ওই নারীর খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। গুরুত্বসহকারে তার চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসকদের বলা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন বলে জেনেছি।

ফয়সাল আহমেদ/ইউএইচ/এমএস

Advertisement