বরগুনার আমতলীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও ধারণ করা ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Advertisement
শনিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৯ আগস্ট বিকেল ৩ টার দিকে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী দর্জির কাজ শেখার জন্য পার্শ্ববর্তী বাড়িতে যান। এ সময় ঘরে ছিল অভিযুক্ত কিশোর এবং তার খালাতো ভাই। মেয়েটি ঘরে প্রবেশের পর দরজা আটকিয়ে খালাতো ভাইয়ের সহযোগিতায় ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে রাখে ওই কিশোর। ভিডিওর ভয় দেখিয়ে বেশ কয়েকবার তাকে ধর্ষণ করা হয়।
Advertisement
সর্বশেষ ৩ নভেম্বর ওই মেয়েকে আবারও শারীরিক সম্পর্কের জন্য প্রস্তাব দেয় কিশোর। এতে সে রাজি না হওয়ায় কিশোর তার ধারণ করা ভিডিও ৪ নভেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে কিশোরীর মা বাদী হয়ে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) রাতে কিশোর, তার খালাতো ভাই ও এক কিশোর আসামি করে আমতলী থানায় ধর্ষণ ও এবং পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। মামলার পর অভিযুক্ত কিশোর ও কিশোরীকে রাতেই গ্রেফতার করে আমতলী থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রীর মা বলেন, অভিযুক্ত কিশোর সম্পর্কে আমার দেবর। একই বাড়িতে আমরা বসবাস করি। চাচা হয়েও আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। ধর্ষণের ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে। পরে সেই ভিডিওর ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনার কঠিন বিচার চাই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাসরিন সুলতানা বলেন, মামলার পরপরই অভিযুক্ত এক কিশোর ও কিশোরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত আরেক কিশোর পলাতক আছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আমতলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রনজিত কুমার সরকার জানান, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের পর আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিলে বিচারক যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আজ রাতে তাদের ওই কেন্দ্রে পাঠানো হবে। অন্যদিকে ভুক্তভোগী মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
এসজে/এএসএম