ক্যাম্পাস

গ্রেড ও মর্যাদা রক্ষা করে গেজেট প্রকাশের দাবি রাবিশিসের

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের গ্রেড ও মর্যাদা রক্ষা করে সুস্পষ্ট ঘোষণা সংবলিত গেজেট প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (রাবিশিস)। রোববার বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এ সময় তারা কয়েকটি দাবি জানায়। তাদের দাবিগুলো হলো-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রবর্তন করা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বেতন কাঠামো পুনঃনির্ধারণ করে সকল সিলেকশন গ্রেড অধ্যাপকদের বেতন ভাতা সিনিয়র সচিবদের সমতুল্য করা, অধ্যাপকদের বেতন ভাতা সচিবের সমতুল্য করতে হবে, সহযোগী, সহকারী ও প্রভাষকদের বেতন কাঠামো ক্রমানুসারে নির্ধারণ করা, রাষ্ট্রীয় ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স এ শিক্ষকদের প্রত্যাশিত বেতন কাঠামো অনুযায়ী পদ মর্যাদা নিশ্চিত করা এবং প্রত্যেক ধাপে প্রদেয় সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য নির্ধারিত অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য নিশ্চিত করা।দাবি পূরণ না হলে লাগাতার কর্মবিরতিরও হুশিয়ারি দেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, গত ৬ ডিসেম্বর অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে তার বাসভবনে শিক্ষক প্রতিনিধিদের এক সাক্ষাৎকারের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের দাবিসমূহ পূরণের সুস্পষ্ট আশ্বাস দিয়েছিলেন। শিক্ষামন্ত্রীও স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো বাস্তাবায়নের উদ্যোগ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। রাষ্ট্রীয় দায়িত্বশীল পদে অধিষ্ঠিত মন্ত্রীদ্বয়ের আশ্বাসের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আমরা এক পর্যায়ে আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত রাখি। এখন স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতি পে-স্কেল গেজেটে প্রতিফলিত হয়নি। এছাড়া আমাদের ন্যায্য দাবিসমূহ উপেক্ষা করে গেজেট ঘোষণা করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।তিনি আরও বলেন, অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর বার বার দেয়া প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও ঘোষিত অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোর গেজেটে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের গ্রেড ও মর্যাদা সমুন্নত রাখার কোনো সস্পষ্ট ঘোষণা না থাকায় আমরা ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। প্রকাশিত পে-স্কেল গেজেট প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রকাশিত পে-স্কেলে গেজেট বাস্তবায়ন হলে সপ্তম জাতীয় পে-স্কেলের তুলনায় গ্রেড-১ প্রাপ্ত শিক্ষকদের সংখ্যা অর্ধেক কিংবা তারও নিচে নেমে আসবে। এছাড়া গ্রেড-১ প্রাপ্ত শিক্ষকদের সুপার গ্রেডের (সিনিয়র সচিবদের গ্রেড) দ্বিতীয় ধাপে যাওয়ার কোনোও সুযোগ ও নির্দেশনাই গেজেটে কিংবা অন্য কোনো পরিপত্রে পরিলক্ষিত হয়নি।সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ‘যুক্তিসঙ্গত কারণে আমরা গত মে মাসে সচিব কমিটির রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করি এবং তা পুনঃনির্ধারণের দাবিতে গত ১৪ মে থেকে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, আংশিক ও পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং অবস্থান ধর্মঘট পালনের মতো গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার ও দেশবাসীর কাছে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরার চেষ্টা করে আসছি।’সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাতিল সিরাজ, সমিতির সদস্য অধ্যাপক মিজানুর রহমান খান, অধ্যাপক আনসার উদ্দীন, সৈয়দা নুসরাত জাহান, আবদুল আলীম প্রমুখ।রাশেদ রিন্টু/এসএস/এমএস

Advertisement