জাতীয়

মাদকের টাকা নিতে গিয়ে সাবেক প্রেমিকার শাশুড়িকে খুন

হাতে টাকা না থাকায় সাবেক প্রেমিকার বাসায় মাদকের টাকা আনতে যান আরিফ গাজী (২০) নামে এক তরুণ। সেখানে গিয়ে প্রেমিকাকে না পেয়ে তার শাশুড়িকে খুন করে অলঙ্কার ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যান তিনি।

Advertisement

খুন হওয়া নারীর নাম পান্না বেগম। নিহত পান্নার বড় ছেলের স্ত্রীর সাবেক প্রেমিক আরিফ গাজী।

রাজধানীর বংশালের সিদ্দিকবাজার এলাকায় গত ২৪ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি লালবাগের কোতোয়ালি জোনাল টিম ছায়া তদন্ত শুরু করে।

অবশেষে ক্লুলেস এ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের পাশাপাশি আরিফ গাজীকে গ্রেফতার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি জোনাল টিম।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. সাইফুর রহমান আজাদ জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, নিহত পান্না বেগমের বড় ছেলের স্ত্রীর সাবেক প্রেমিক ও ছোটবেলার বন্ধু ছিলেন আরিফ গাজী। সেই সুবাদে পান্নাদের বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন তিনি। আরিফকে ধর্মের ছেলে বলেও ডাকতেন নিহত পান্না। হাতে টাকা না থাকায় গত ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় সাবেক প্রেমিকার বাসায় মাদক কিনতে টাকা আনতে যান আরিফ। তবে তখন বাসায় পান্না ছাড়া কেউ ছিলেন না। সেখানে গিয়ে পান্নার সঙ্গে কথাবার্তা বলেন ও চা-নাস্তা খান আরিফ।

দীর্ঘ সময় কথাবার্তা বলার একপর্যায়ে রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে বাসার কাটাউট পুড়ে বিদ্যুৎ চলে যায়। এ সুযোগে পান্নাকে একা পেয়ে আরিফ টেবিলে থাকা চাকু দিয়ে তার পিঠে সজোরে আঘাত করেন।

এডিসি সাইফুর রহমান আজাদ বলেন, এসময় চিৎকার করলে আরিফ পান্নাকে বিছানায় ফেলে বালিশ দিয়ে নাক ও মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। ভিকটিমের নাকে থাকা একটি নাকফুল, আলমারি থেকে চারটি রুপার নূপুর, একটি রুপার হার ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান।

Advertisement

ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, আরিফ অলঙ্কারগুলো খিলগাঁও পশ্চিম নন্দীপাড়ার মাতবর গলির ভাই ভাই জুয়েলার্সের মালিক মাসুদ রানার কাছে ৮ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করেন। তার কাছ থেকে চোরাই মাল কেনাবেচার জন্য দোকান মালিক মাসুদকেও গ্রেফতার করা হয় এবং মাসুদের দোকান থেকে চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়।

ডিবি জানায়, মাদকাসক্ত আরিফের কাছে ওই রাতে টাকা ছিল না। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পরই তার মাথায় হত্যার পরিকল্পনা আসে। তিনি খুন করে গয়না ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যান। জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। একই সঙ্গে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার কথাও বলেন।

টিটি/এমআরআর/জিকেএস