সারা বছর টমেটোর দেখা মিললেও শীতকালই হলো এর আসল মৌসুম। এসময় প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় বলে বেশ সহজলভ্যও থাকে। টমেটো রান্না করে বা কাঁচা দুভাবেই খাওয়া যায়। টমেটোর রয়েয়ে অসংখ্য উপকারিতা। চলুন জেনে নিই, টমেটোর কয়েকটি গুণ-নিয়মিত টমেটো ব্যবহারে ত্বকে লাইকোপিনের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা ত্বককে আলট্রাভায়োলেট রশ্মি এবং বাতাসের ক্ষতিকর উপাদান থেকে রক্ষা করে। ত্বক অক্সিজেন পায়। ফলে বলিরেখা বা বয়সের ছাপ পড়ে না। নিয়মিত ২০০ গ্রাম টমেটো খেলে ত্বকে বলিরেখা পড়ে না, স্কিন ক্যান্সার হয় না এবং ত্বক উজ্জ্বল থাকে।যাদের রোদের মধ্যে কাজ করতে হয় তাদের সানবার্ন বেশি হয়। তারা টমেটোর খোসা ফেলে রস বের করে নিন। সঙ্গে সামান্য ময়দা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে রাখুন পাঁচ থেকে দশ মিনিট। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বক শুষ্ক হলে এই মাস্কের সঙ্গে সামান্য অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন।ত্বকে ময়লা জমে লোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ব্রণ থেকে শুরু করে নানা রকম র্যাশের সমস্যা দেখা দেয়। এক চামচ টমেটোর রসের সঙ্গে দুই থেকে চার ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। পনেরো থেকে বিশ মিনিট রাখার পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। যাদের ত্বক নির্জীব ও অ্যালার্জির সমস্যা, তারা টমেটোর রসের সঙ্গে অল্প পরিমাণ টক দই মিশিয়ে সেই মিশ্রণটি মাখুন। বিশ মিনিট রাখার পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক সতেজ ও কোমল থাকবে।ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে ক্রিমের চেয়ে শতভাগ কাজ করে টমেটো।সমপরিমাণ টমেটোর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত। টমেটোয় থাকা ভিটামিন-এ ও সি ত্বক ফরসা করে।শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমানোর জন্য প্রতিদিন সকালে একটি টমেটো খেতে পারেন। কাঁচা টমেটো খেতে না পারলে দিনে ২ গ্লাস টমেটোর রস পান করুন। এমনকি যাঁরা ডায়েট করতে চান তাঁরা খাওয়া শুরুর দশ মিনিট আগে এক গ্লাস টমেটোর রস পান করুন। ইচ্ছে করলেও বেশি খেতে পারবেন না। ব্যায়াম ছাড়াই ওজন কমবে ।চুলের সুস্থতায়ও টমেটো কার্যকর। খুশকি দূর করতে এবং ঝলমলে চুলের জন্য টমেটো থেঁতো করে সুন্দরভাবে মাথার স্কাল্পে লাগিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। খুশকির সমস্যা দূর হবে এবং চুলেও আসবে উজ্জ্বলতা।এইচএন/এমএস
Advertisement