দেশজুড়ে

জেঁকে বসেছে শীত বেড়েছে শীতবস্ত্রের চাহিদা

হঠাৎ করেই ঝিনাইদহে জেঁকে বসেছে শীত। দিন দিন বাড়ছে শীতের তীব্রতা। শীতের তীব্রতা বাড়ায় শীতবস্ত্রের চাহিদা বেড়েছে। তবে শীতে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া অসহায় মানুষ।জানা গেছে, হিমেল বাতাসে গত ৩/৪ দিন ধরে জবুথবু অবস্থায় মানুষজনকে রাস্তায় চলাচল করতে দেখা গেছে। কনকনে ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে দিনের বেলা যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে অতি সাবধানে চলাচল করছে। এদিকে গরম কাপড়ের খোঁজে ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় ছিল লক্ষ্য করার মতো। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে শিশু ও বয়স্ক লোকেরা। হাসপাতালে ভিড় বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি রোগীদের।গরীব মানুষেরা শহরের নামী-দামী দোকানে যেতে না পেরে রাস্তার পাশের ফুটপাত থেকে শীতের জন্য গরম কাপড় সংগ্রহ করছেন। শীত বেশি পড়ায় রাস্তার পাশে শীতের গরম কাপড় বিক্রির দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড়ও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর যারা একদমই শীতের কাপড় কিনতে পারছেন না তাদের কাছে আগুনই একমাত্র ভরসা। আকস্মিক এ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার ছিন্নমূল মানুষেরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।কালীগঞ্জ উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের গৃহিণী জোসনা খাতুন বলেন, সমস্ত জেলা জুড়ে শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। গরীব মানুষ, গরম কাপড় কেনার সাধ্য নেই। সকালে রোদ না উঠা পর্যন্ত আর রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত আগুনের কাছ বসে থাকি।আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ মাসের শেষের দিকে ঝিনাইদহসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একটি শৈত্যপ্রবাহ আসার সম্ভাবনা আছে। তারই পূর্বাভাস হিসেবেই হয়ত হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়েছে।ঝিনাইদহে গত শনিবার ভোর থেকেই ঠান্ডা বাতাস বইতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের গতি বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতা। দিনভর সূর্য না ওঠায় সন্ধ্যার পর শীতের তীব্রতা আরও বেড়ে যায়। শীতের এই তীব্রতা অব্যাহত থাকলে এসব দরিদ্র মানুষের জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে।ঝিনাইদহ শহরের রাস্তার পাশের ফুটপাতের শীতবস্ত্রের দোকানদার ইসমাইল হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে বেচাকেনা খুব ভালো হচ্ছে। শীত বেশি পড়লে আমাদের বেচাকেনাও খুব ভালো হয়। সব সময় ভিড় লেগেই আছে। এসএস/এমএস

Advertisement