দেশজুড়ে

নদীগর্ভে ঘর বিলীন, নৌকায় সন্তান প্রসব

বেড়িবাঁধ ভেঙে চারদিকে জোয়ারের পানি। নদীগর্ভে ঘর হারিয়ে মাছ ধরার নৌকাতেই পরিবারের সাত সদস্য নিয়ে বসবাস ইয়াকুব আলীর। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সেই নৌকাতেই সন্তান জন্ম দিয়েছেন তার স্ত্রী মিনার বেগম।

Advertisement

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের বন্যতলা এলাকার ইয়াকুব আলী জানান, বেড়িবাঁধ ভাঙনের ফলে খোলপেটুয়া নদীর জোয়ার ভাটায় আমাদের বসবাসের ঘরটি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। থাকার জায়গা না পেয়ে গত তিন মাস ধরে জীবিকার একমাত্র অবলম্বন নিজের মাছ ধরার নৌকাতেই বসবাস করছি। মঙ্গলবার নৌকাতেই আমার পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। বর্তমানে মা ও ছেলে দুজনেই সুস্থ আছে।

জোয়ারের সময় নৌকাতে সবাই অবস্থান করলেও ভাটার সময় পার্শ্ববর্তী বেড়িবাঁধের ওপর বসবাসরতদের বাড়িতে কিছু সময় পার করেছেন বলেও জানান তিনি।

প্রতাপনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জাগো নিউজকে জানান, তিন মাসেও ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধটি মেরামত না হওয়ায় ইয়াকুব আলীর মতো অনেক জেলে পরিবার এখনও নৌকাতে বসবাস করছেন। অনেকে বেড়িবাঁধের উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। এলাকা ছেড়েছে শত শত পরিবার।

Advertisement

তিনি বলেন, ইচ্ছা থাকলেও আশ্রয়কেন্দ্রে সবাইকে জায়গা দেয়া যাচ্ছে না। অনেকে ভিটামাটি ছেড়ে আসতে চাচ্ছে না। বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হলেও কতদিন সময় লাগবে জানি না।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, চলতি বছরের ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সময় অতিরিক্ত জোয়ারের চাপে বন্যতলা এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর প্রায় ৮০ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। ইতোমধ্যে বন্যতলা বাঁধটি মেরামতের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর ঠিকাদার নিয়োগ করেছে। তারা কাজ শুরু করছে। আশা করছি এই শুষ্ক মৌসুমের মধ্যেই বাঁধটির কাজ শেষ হবে।

আহসানুর রহমান রাজীব/এফএ/জেআইএম

Advertisement