দেশজুড়ে

জুলাই মাসে শেষ হবে সিলেট কারাগারের নির্মাণ কাজ

১৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট শহরতলীর বাদাঘাটে নির্মাণাধীন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের অগ্রাধিকার এই প্রকল্পের ৮০ ভাগ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সিলেট গণপূর্ত অধিদফতর জানিয়েছে, প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী আগামী ২০১৬ সালের জুলাই মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হবে এবং ডিসেম্বরের মধ্যে এটি উদ্বোধন করা সম্ভব হবে। যথাসময়ে কাজ শেষ হয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্রুততম সময়ে সরকারি এ প্রকল্পের সফল সমাপ্তি হবে।শনিবার নির্মাণাধীন কারাগার পরিদর্শন করেন জাতিসংঘস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের সাবেক প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. আবুল কাশেম আবদুল মোমেন। এসময় সিলেট গণপূর্ত অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম জিল্লুর রহমান জানান, কারাগার নির্মাণ প্রকল্পের মধ্যে ৬০টি ভবন নির্মাণ হয়েছে। অবশিষ্ট চারটি প্রকল্পের নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে শেষ হয়েছে। কারাগারের অভ্যন্তরীণ উচু প্রাচীর, বাইরের প্রাচীরসহ গুরুত্বপূর্ণ অধিকাংশ কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়ক নির্মাণ হয়নি। কারাগারের সামনের কিছু ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গা ও সওজের অসম্পূর্ণ একটি সড়ক থাকায় সংযোগ সড়কের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না বলে জানান জিল্লুর রহমান।২০১২ সালের জুলাই মাসে ৩০ একর জমিতে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পে ৬৪টি ভবনের ২৮টি বহুতল, অন্যগুলো একতলা বিশিষ্ট। যার মধ্যে চারটি স্টিল স্ট্রাকচার। ৩টি ওয়াচ টাওয়ার, একটি ক্যান্টিন, একটি গ্যারেজ, একটি মসজিদ ও একটি স্কুল রয়েছে। পুরুষ বন্দীদের জন্য ছয়তলা বিশিষ্ট চারটি ও নারী বন্দীদের জন্য চারতলা বিশিষ্ট একটি, দুইতলা বিশিষ্ট ২টি পৃথক ভবন, পৃথক হাসপাতাল, সেল, কারা কর্তৃপক্ষের জন্য ১৩০টি ফ্ল্যাট রয়েছে এ প্রকল্পে। সব কাজ ঠিকমতো এগিয়ে গেলেও যথেষ্ট অর্থ থাকা সত্ত্বেও সংযোগ সড়কটি নির্মাণের কাজ এখনো শুরু হয়নি। গণপূর্ত অধিদফতর প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ করার ক্ষেত্রে এটাকে সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করছে।জিল্লুর রহমান জানিয়েছেন, সংযোগ সড়কের জায়গাটি সওজের। সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা পেলে যথাসময়ে কাজ শেষ করতে কোনো অসুবিধা হবে না।পরিদর্শনকালে ড. মোমেন বলেন, নতুন কারাগার নির্মাণে অর্থমন্ত্রী সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি চাচ্ছেন নতুন কারাগার নির্মাণ দ্রুত শেষ করে পুরাতন কারাগারের স্থলে পার্ক স্থাপন করবেন। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রত্যেকের এগিয়ে আসা উচিত।পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এপিপি অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিরাজী, মকসুদ আহমদ মকসুদ, ১৯ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ সিরাজ, যুবলীগ নেতা কিশোর ভট্টাচার্য্য জনি, জেলা শ্রমিকলীগ নেতা ফুল মিয়া, শাহজাহান কবির, আলী বাহার প্রমুখ।ছামির মাহমুদ/এমজেড/এমএস

Advertisement