চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুর মোড়ে নালায় তলিয়ে সালেহ আহমেদ নামে এক ব্যবসায়ীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় মূল দায় পড়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ওপর। এ ঘটনায় নগরের প্রধান সেবা সংস্থা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) দায়িত্বহীনতার বিষয়টিও উঠে এসেছে মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে। সম্প্রতি বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় হয়ে এ প্রতিবেদন গেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে।
Advertisement
জানা গেছে, গত ২৫ আগস্ট নগরের মুরাদপুর মোড়ে নালায় তলিয়ে যান সবজি ব্যবসায়ী সালেহ আহমদ। ফায়ার সার্ভিস টানা অভিযান পরিচালনা করেও তার খোঁজ পায়নি। এখনো তিনি নিখোঁজ। এ ঘটনা তুমুল আলোচনার জন্ম দিলে চসিক-সিডিএ পরস্পরকে দোষারোপ করেন। একপর্যায়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ দায়ী কে, তা জানতে চান চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কাছে।
মন্ত্রিপরিষদের চিঠি পাওয়ার পর গত ২ অক্টোবর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়। কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। এছাড়াও ঘটনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও কথা হয় কমিটির।
কমিটিপ্রধান মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, মন্ত্রিপরিষদ আমাদের কাছে ঘটনার জন্য দায়ী কে, জানতে চেয়েছেন। তদন্তে আমরা দেখেছি, ঘটনাস্থলে জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্পের কাজ চলমান। প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সিডিএ। এক বছর আগে নালার ওপর থাকা স্ল্যাবগুলো সরানো হয়েছে। সিডিএকেই মূল দায়ী ধরা হচ্ছে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, সিডিএ মূল দায়ী হলেও নগরের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও নগরবাসীর চলাফেরা নির্বিঘ্ন করার দায়িত্ব চসিকের। ফলে সিটি করপোরেশনও এ ঘটনার দায় এড়াতে পারে না।
গত ৩০ জুন নগরের ২ নম্বর গেটে মেয়র গলিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা নালায় পড়ে যায়। এ ঘটনায় মারা যান অটোরিকশায় থাকা খতিজা বেগম ও চালক সুলতান। এরপর ২৫ আগস্ট মুরাদপুর মোড়ে সালেহ আহমদ নালায় তলিয়ে যান, এখনো তার খোঁজ মেলেনি। সবশেষ গত ২৭ সেপ্টেম্বর আগ্রাবাদ এলাকার একটি নালায় তলিয়ে মারা যান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সেহেরীন মাহবুব সাদিয়া।
মিজানুর রহমান/এমকেআর/জেআইএম
Advertisement