ক্রিকইনফো, ক্রিকবাজ কিংবা টেলিভিশনের পর্দায় যারা খেলে দেখছেন, তারা সবাই বলবেন গতকাল আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে ম্যাচ চলছিল। তবে লড়াইটা তো চলছিল আসলে তিন দলের! হ্যাঁ, যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ম্যাচ চলাকালীন চোখ রেখেছিলেন, তাদের কাছে অন্তত তেমনটা মনে হওয়া স্বাভাবিক।
Advertisement
এদিন, ভারত-আফগানিস্তান ম্যাচের তৃতীয় প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছিল পাকিস্তানি ভক্ত-সমর্থকরা। ভারতের কাছে ম্যাচের শুরু থেকেই আফগানিস্তানকে কাবু হতে দেখে পাকিস্তানিরা ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরগরম করে তোলে।
তবে নিজেদের ভক্ত-সমর্থকদের এমন কথাকে পাত্তা দিচ্ছেন না পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররাই। ম্যাচ শেষে পাতানো ম্যাচ বলে অভিযোগ তোলা ‘অসুস্থ’ সমর্থকদের অনেকে তো একহাত নেনও।
Please stop talking about the match being pre-decided or doctored. Such things leave a bad taste. I am backing Afghanistan & India both. Lets see if any one of them pulls off a miracle & goes through. Full video: https://t.co/M99csp35Nr#INDvsAFG #indiancricket pic.twitter.com/TDK3Tu3Ueb
Advertisement
এই যেমন শোয়েব আখতার টুইটারে বলেছেন, ‘এই ম্যাচটাকে (ভারত-আফগানিস্তান) পাতানো, পূর্বনির্ধারিত এসব বলে খেলার মজাটা নষ্ট করবেন না। আফগানিস্তান ও ভারত-দুটো দলের কেউ এবার চমক দেখাতে পারে।’
সুপার টুয়েলভের ম্যাচে গতকাল টস থেকে শুরু। মোহাম্মদ নবি ভারতকে জেতানোর জন্য বোলিং নিয়েছে, এমন গুঞ্জনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সয়লাব হয়ে যায়। তখন থেকে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত নেটিজেনরা এটাকে পাতানো ম্যাচ বলে এসেছিল। টুইটারে নানারকম ‘মিম’ও বানানো হয়েছিল। ‘ফিক্সড’ হ্যাশট্যাগটা এক নম্বট ট্রেন্ডিং হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানে।
তবে ম্যাচটা পাতানো ছিল, শোয়েবের মতো তা মানতে নারাজ পাকিস্তানের আরও দুই কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম এবং ওয়াকার ইউনুসও। এ স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওয়াসিম আকরাম বলেছেন, ‘এসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বানিয়ে কি লাভ? ভারত খুব শক্তিশালী একটা দল। শুধু টুর্নামেন্টের প্রথম দুটো ম্যাচ ভারত বাজে খেলেছে।’
ওয়াকার ইউনিসও সুর মিলিয়েছেন নিজের সাবেক দুই সতীর্থের সঙ্গে। তিনি বলেছেন, ‘এসব ব্যাপারে কিছু বলার নেই৷ আমজনতার এটা নিয়ে অত ভাবা উচিত না।’
Advertisement
মূলত, বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ায় ভারতের সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে এসেছে। এখন নিজেদের হাতে থাকা ম্যাচগুলোতে শুধু জিতলেই হবে না, ভারতকে চেয়ে থাকতে হবে নিউজিল্যান্ড-আফগানিস্তানের হারের দিকেও। আর কাল আফগানিস্তান ভারতের কাছেই খুব বড় ব্যবধানে হেরে যাওয়ায় ম্যাচ পাতানোর গন্ধ যেন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
এসএস/জেআইএম