ফিফা-অলিম্পিকসহ নানা খেলাধুলায় কীভাবে কার্বন নিঃসরণ কমানো যায় সে বিষয়ে গ্লাসগোর স্কটিশ ইভেন্ট সেন্টারের গ্রিন জোনে নানা আলোচনা হয়েছে। বুধবার (৩ নভেম্বর) এই বিষয়ে আলোচনা হয়।
Advertisement
স্পোর্টস ফর ক্লাইমেট অ্যাকশন ফ্রেমওয়ার্ক (S4CA)-এ উচ্চাভিলাষী কার্বন নির্গমন হ্রাস লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ২০৪০ সালের মধ্যে নেট জিরোতে পৌঁছানো এবং ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ৫০ শতাংশ হ্রাস করা। বৈজ্ঞানিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে বিশ্বকে ৩০ সালের মধ্যে নির্গমন অর্ধেক করতে হবে এবং ২০৪০ সালের মধ্যে শূন্য অর্জন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এসফোরসিএ’র সকল নতুন সদস্যের এই ফ্রেমওয়ার্কের অধীনে নতুন লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। যার লক্ষ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা, কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য একটি সমন্বিত প্রচেষ্টায় ক্রীড়া সংস্থা, দল, ক্রীড়াবিদ এবং অনুরাগীদের একত্রিত করা এবং প্রয়োজনীয় বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এটি বাস্তবায়ন হলে প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য পূরণ হবে।
স্পোর্টস ফর ক্লাইমেট অ্যাকশন ফ্রেমওয়ার্ক চালু করার চার বছর পর থেকে ২৮০টিরও বেশি ক্রীড়া সংস্থা প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে খেলাধুলাকে সারিবদ্ধ করার ব্যাপক লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে।
Advertisement
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনের নির্বাহী সচিব প্যাট্রিসিয়া এস্পিনোসা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেছেন, কপ২৬ এ ফ্রেমওয়ার্ক টার্গেট।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি, ফিফা, অ্যাথলেটিক্স , বিবিসি স্পোর্টস, প্রিমিয়ার লিগ এবং রাগবিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা নতুন লক্ষ্য বাস্তবায়নে স্বাক্ষর করেছে। স্বাক্ষরকারীরা ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের পাশাপাশি সামগ্রিক অগ্রগতির রিপোর্টের রূপরেখার পরিকল্পনা জমা দিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
স্পোর্টস ফর ক্লাইমেট অ্যাকশনে স্বাক্ষরকারীরা আরও ঘোষণা করেছেন, স্পোর্টস ফর ক্লাইমেট অ্যাকশন ফ্রেমওয়ার্কের দুটি উদ্দেশ্য রয়েছে। একটি হলো জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিশ্ব ক্রীড়া সম্প্রদায়ের জন্য একটি সুস্পষ্ট সফলতা অর্জন করা। দ্বিতীয়টি হলো বিশ্বব্যাপী নাগরিকদের মধ্যে জলবায়ু সচেতনতা করা। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় খেলাধুলাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
কপ২৬ এর সভাপতি অলক শর্মা বলেন, ১৯৭ দেশের জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন সদস্যপদ রয়েছে এবং এটি ২০১৫ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তির মূল চুক্তি। প্যারিস চুক্তির মূল লক্ষ্য হরো এই শতাব্দীতে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার প্রচেষ্টা চালানো। এছাড়াও ১৯৯৭ সালের কিয়োটো প্রোটোকলের মূল চুক্তি। সমস্ত চুক্তির চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হলো কার্বন নিঃসরণ কমানো।
Advertisement
এমওইএস/ইএ/জিকেএস