ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনসহ অন্যান্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সহিংসতা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন ইসি। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় ভার্চুয়ালি এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
Advertisement
নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিব এসএম আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দিন দিন সহিংসতা বাড়ছে। এই সহিংসতা কমানোর উদ্দেশ্যেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে জানা যায়, বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত থাকবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত থাকবেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। বৈঠকে ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারও অংশ নেবেন। যুক্ত থাকতে পারবেন তালিকাভুক্ত সাংবাদিকরাও।
Advertisement
আসন্ন ইউপি নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভায় যোগ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার সব বিভাগীয় কমিশনার, উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, পুলিশ কমিশনার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদেরও বৈঠকে সংযুক্ত থাকতে বলা হয়েছে।
সূত্র জানায়, সামনের নির্বাচনগুলোতে যাতে সহিংসতার ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে সভায় দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।
এর আগে মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সিইসি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে সেটা ঠিক, আমরা সেটি প্রত্যক্ষ করেছি। নির্বাচনের ব্যাপারে মাঠপর্যায়ে কী ধরনের নির্দেশনা দেওয়া দরকার সেটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি। আমরা আশা করি, ৪ তারিখ (বৃহস্পতিবার) বিস্তারিত আলোচনা করবো। অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে। যেগুলো নিয়ে আমরা বিব্রত। সেটা নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করে মাঠপর্যায়ে দিকনির্দেশনা দেবো।
রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পজিটিভলি দেখছেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমরা খুব পজিটিভলি দেখছি না। দুঃখজনক হলেও সত্য। এই সমস্ত বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় ভূমিকা থাকা দরকার। নির্বাচনের বিষয়টি শুধু নির্বাচন কমিশনের না, এটা সবারই। আমরা তার ব্যবস্থাপনায় থাকি শুধু। সুতরাং তারা আরও প্রোঅ্যাকটিভ যদি হয়, তাহলে এগুলো আরও কমে আসবে।
Advertisement
এইচএস/ইএ/জিকেএস