দেশজুড়ে

থ্যালাসেমিয়া রোগের ঝুঁকিতে কক্সবাজার

উপকূলীয় অঞ্চল হওয়ায় মরণব্যাধি থ্যালাসেমিয়া রোগের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে কক্সবাজার। জিনঘটিত রক্তের অস্বাভাবিকতা ও বংশ পরিক্রমায় সৃষ্টি হওয়া এই রোগটি উপকূলে বৃদ্ধির প্রকোপ বেশি থাকায় কক্সবাজারের শতকরা ৩০ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।এই রোগে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগী অতিদরিদ্র হওয়ায় মৃত্যু ঝুঁকিও কম নয়। তাই নিরাময় অযোগ্য এই রোগ সম্পর্কে দীর্ঘদিন ধরে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করা থ্যালাসেমিয়া সেবাকেন্দ্র বাংলাদেশ কক্সবাজার থেকেই প্রচারাভিযান শুরু করেছে।প্রচারাভিযান কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে থ্যালাসেমিয়া কেন্দ্র বাংলাদেশ-এর সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য জানান।লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো জানান, থ্যালাসেমিয়া একটি মারাত্মক ও নিরাময় অযোগ্য রোগ। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এখনো এই রোগের সম্পূর্ণ নিরাময়ের উপায় সৃষ্টি হয়নি। তাই কেউ রোগে আক্রান্ত হলে তাকে ধুকে ধুকে মরতে হয়। কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারলে অনেকাংশে কমে আনা সম্ভব।তিনি বলেন, থ্যালাসেমিয়া সেবা কেন্দ্র বাংলাদেশ একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে দীর্ঘদিন ধরে থ্যালাসেমিয়া রোগ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে সমুদ্র উপকূল কক্সবাজারে এই রোগের সেবা কেন্দ্র সম্প্রসারণের লক্ষ্যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সবার সহযোগিতা পেলে খুব শিগগিরই চালু করা যাবে থ্যালাসেমিয়া সেবা কেন্দ্র।মতবিনিময়কালে থ্যালাসেমিয়া রোগে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রফেসর ডা. মাহমুদ এ আরজু বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগে চিকিৎসা ক্ষেত্রেও কোনো উল্লেখযোগ্য সুবিধা নেই। তাই বাংলাদেশে এই রোগটি প্রাণঘাতী রোগ হিসেবে আতঙ্কের কারণ হয়ে আছে।বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বের পাঁচ শতাংশ মানুষ এ রোগটির বাহক। এ রোগে প্রতিবছর মারা যায় অনেক শিশু। বাংলাদেশে যেহেতু এ রোগের উপর কোনো সংস্থা জরিপ বা চিকিৎসার জন্য সুনির্দিষ্টভাবে কাজ করছে না তাই কী পরিমাণ থ্যালাসেমিয়া রোগী আছে তা নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।তিনি আরো বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগীদের রক্তে কোনো স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিন তৈরি হয় না। ফলে লোহিত রক্তকণিকা অস্বাভাবিক। তাই এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের বাঁচানো অসম্ভব হয়ে পড়ে।সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ও থ্যালাসেমিয়া সেবা কেন্দ্র বাংলাদেশ-এর সাধারণ সম্পাদক আশিষ ধরসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক।সায়ীদ আলমগীর/ এমএএস

Advertisement