জাতীয়

এবার দাবি মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার অপরাধ আইনের

এবার একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ‘মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার অপরাধ আইন’ প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি (ঘাদানিক)। শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির।লিখিত বক্তব্যে শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশে ৩০ লক্ষ মানুষ শহীদ হননি- এ ধরনের মন্তব্য করে বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া আবারো প্রমাণ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের প্রতি তার যে সমর্থন ও দুর্বলতা ছিল এখনো তা অক্ষুণ্ন রয়েছে। তার এ ধরনের বক্তব্য শুধু আদালত ও সংবিধান অবমাননা নয়, বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিনাশী চক্রান্তের অন্তর্গত।’তার বক্তব্যকে ‘হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই’ মন্তব্য করে শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বক্তব্যে নিঃসন্দেহে পাকিস্তানের আইএসআই এবং আল কায়েদা ও আইএসের মতো আন্তর্জাতিক জঙ্গি সন্ত্রাসী সংগঠন অনুপ্রাণিত হবে।’লিখিত বক্তব্যে একইসঙ্গে ‘মুক্তিযুদ্ধের ভিকটিমদের ক্ষতিপূরণ আইন’ করারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। সেই সঙ্গে ‘মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার অপরাধ আইন’ প্রণয়ন ছাড়াও যুদ্ধাপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দল ও বাহিনী হিসেবে জামায়াত ইসলামী, মুসলিম লীগ, নেজামে ইসলাম, শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও মুজাহিদের বিচার; মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধীদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত; বাংলাদেশের গণহত্যার ভিকটিমের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের ওপর সর্বাত্মক চাপ প্রয়োগ; একাত্তরে যেসব যুদ্ধশিশু বাংলাদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণে আগ্রহী তাদের নাগরিকত্ব প্রদান এবং ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ঘোষণাসহ আটটি দাবি জানানো হয়।সংবাদ সম্মেলনে সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি তুরিন আফরোজ, ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।এসএইচএস/বিএ

Advertisement