জাতীয়

জিহাদের মতো অমানবিক মৃত্যু চায় না কলোনিবাসী

জিহাদরা মুক্ত হাওয়ায় বেড়ে উঠবে, খেলবে, ছুটবে। কিন্তু বড়দের অসাবধানতার কারণে যেন অঙ্কুরেই হারিয়ে না যায় শিশুরা। এমনটাই চায় রাজধানীর শাহজাহানপুর কলোনিবাসী।আজ (শনিবার) ছিল জিহাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। জিহাদের মৃত্যুর প্রথম বার্ষিকীতে রেলওয়ে কলোনিতে একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়েছে। ফলকটি উদ্বোধনের পর কলোনির প্রতিবেশী আকছার উদ্দিন এমন কথা বলেন।২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর শাজাহানপুরে বাসার কাছে রেলওয়ে মাঠের পানির পাম্পের পাইপে খেলতে গিয়ে পড়ে যায় জিহাদ। প্রায় ২৩ ঘণ্টা রুদ্ধশ্বাস অভিযানের পর ২৭ ডিসেম্বর বিকেল ৩টার দিকে জিহাদকে লাশ উদ্ধার করা হয়।কলোনির মাঠের যে পাশে খেলতে গিয়ে পাইপে পড়ে গিয়েছিল শিশু জিহাদ সেখানেই তৈরি করা হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ। এলাকাবাসীর উদ্যোগে গত বুধবার বিকেল থেকে সেখানে একটি ম্যুরাল ছবি অঙ্কনের কাজ শুরু হয়। ৬x৬ ফুট দেয়ালে ৩x৩ ছবিটি অঙ্কন করা হয়। ম্যুরাল স্মৃটিস্তম্ভ অঙ্কনের কাজ করেন শিল্পী লিটন শীল।রেলওয়ে কলোনির বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, গণমাধ্যমে জিহাদের খবর গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ পেয়েছে। মানুষও অনেক আগ্রহ নিয়ে দেখেছেন পড়েছেন। কিন্তু সীমাবদ্ধতার কারণে জিহাদকে বাঁচাতে পারিনি। মৃত্যুর খবরে খুব খারাপ লেগেছিল। তাই আমরা শিশু জিহাদের স্মরণে স্মৃতিফলক তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে নতুন করে আর কোনো জিহাদের অমানবিক মৃত্যুর যেন না হয় সে বিষয়ে সবাই সাবধান থাকবে বলে আশা করেন তিনি।শামসুল আলম নামে কলোনির অপর এক ব্যবসায়ী জানান, “জিহাদের স্মৃতিস্তম্ভ আমাদের বেড়ে উঠা শিশুদেরকেও জাগাবে। সাবধান করবে। আমরা চাই এর একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক।জিহাদের বাবা নাসির উদ্দিন বলেন, ছেলের স্মৃতি ধরে রাখার ইচ্ছে ছিল। এলাকাবাসীর উদ্যোগে খুব খুশি হয়েছে। তবে বিচারের বিষয়টি আমি গুরুত্বের সঙ্গে আবারো উত্থাপন করতে চাই। নইলে বিচারহীনতা আবারো জিহাদদের অমানবিক মৃত্যুকে তরান্বিত করতে পারে।তিনি আরো বলেন, শনিবারে বিকেলে জিহাদের স্মরণে তৈরি স্মৃতি ফলকটি উন্মোচন করা হয়েছে। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলও অনুষ্ঠিত হয় বলে জানান তিনি।জেইউ/এএইচ/বিএ

Advertisement