রাজধানীর ঢাকা কমার্স কলেজে দ্বিতীয় দিনের মতো করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম চলছে। বুধবার (৩ নভেম্বর) সকাল নয়টায় শুরু হওয়া এ কার্যক্রমে মিরপুরের তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুই হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হবে। টিকাদান চলবে বিকেল পর্যন্ত।
Advertisement
কমার্স কলেজ কর্তৃপক্ষ জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, বুধবার সকাল ৯টায় ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। বিকেল পর্যন্ত দুই হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হবে। সকালে মিরপুর-১১ নম্বরের মিরপুর বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। বিকেলে মিরপুরের বেঙ্গলি মিডিয়াম সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও মোহাম্মদপুরের ইংলিশ মিডিয়াম সেন্ট যোসেফ স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হবে।
বুধবার (৩ নভেম্বর) ঢাকা কমার্স কলেজে সরেজমিনে টিকাকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও কলেজ গেটের সামনে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড় জমে। গাদাগাদি করে শিক্ষার্থীরা টিকাকেন্দ্রে প্রবেশ করে। তবে অভিভাবকদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বিশ্রামাগার না থাকায় গেটের সামনেই তারা অপেক্ষা করছেন। এতে প্রতিষ্ঠানটির সামনের প্রধান সড়কে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।
দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের টিকাকেন্দ্রে প্রবেশের পর সারিবদ্ধভাবে ছেলে ও মেয়েদের আলাদা লাইনে দাঁড় করানো হচ্ছে। ধাপে ধাপে তাদের কেন্দ্রের ভেতর নেওয়া হচ্ছে। টিকা নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
Advertisement
মিরপুর বাংলা স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী নুসরাত ইসলাম টিকা নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় জাগো নিউজকে বলেন, টিকা দেওয়া হবে- এটি মনে এলেই ভয় লাগছিল। তবে টিকা নেওয়ার পর সে ভয় কেটে গেছে। ইনজেকশনের ওপর এক ধরনের ভয় কাজ করায় এমনটা মনে হয়েছে। টিকা নিতে কোনো সমস্যা হয়নি।
এদিন মিরপুর বাংলা কলেজের দুজন শিক্ষার্থী সকালে খালি পেটে টিকা নেওয়ার পর কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে কিছুক্ষণ বিশ্রামের পরই তার সুস্থ বোধ করেন এবং বাসায় চলে যান।
কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ আল মাসুদের সঙ্গে কথা হলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ঢাকা কমার্স কলেজ কেন্দ্রের মাধ্যমে শাহআলীবাগ, দারুস সালাম, পল্লবী ও রূপনগরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল-বিকেলে দুই ধাপে টিকাদান কার্যক্রম চলছে।
তিনি বলেন, টিকাদান সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করতে এখানে মোট ২৫টি বুথ স্থাপন হয়েছে। দ্বিতীয় দিনেও ১০টি বুথে দুই হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হবে। টিকাদানে আমাদের ৫০ জন শিক্ষক, ৩০ জন স্কাউট সদস্য এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে পাঠানো রোটারি স্কাউটের ৩০ জন সদস্য কাজ করছেন।
Advertisement
এমএইচএম/এমকেআর/জেআইএম