ইলেকট্রনিক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলে কার্বন নিঃসরণ কমানোসহ নানা দাবি নিয়ে সম্মেলনস্থলের বাইরে সরব বিক্ষোভকারীরা। এমনকি বিক্ষোভকারীদের আন্দোলনের ফলে সব ধরনের ফুয়েল ব্যবহারকারী পরিবহন তুলে নেওয়া হয়েছে। ফলে গ্লাসগো শহরে কমেছে পরিবহন সংখ্যা। নানা রুটের সিডিউল পরিবর্তন হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অংশগ্রহণকারীরা।
Advertisement
যেমন- গ্লাসগো সিটি সেন্টার থেকে ভেন্যুতে যাতায়াত করা গ্লাসগো এক্স১৯ বাসটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে মেইল করে বিষয়টি অংশগ্রহণকারীদের জানিয়েছেন ইভেন্ট আয়োজকরা।
এমনকি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ধনী দেশগুলোর ব্যর্থতার নানা চিত্র তুলে ধরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করা হয়।
একদল অবসরপ্রাপ্ত স্কটিশ নাগরিক পৃথিবীকে বাঁচানোর আকুতি জানিয়ে গলায় ঝুলিয়ে রেখেছিলেন প্লাকার্ড ও পোস্টার। তাতে লেখা, ‘লাভ অ্যান্ড গ্রিফ আর্থ’।
Advertisement
গ্লাসগোতে হাজারো পরিবেশকর্মী ও ব্যবসায়ী জড়ো হয়েছেন। তারা নানা অনুষ্ঠান, আয়োজন, নেটওয়ার্কিং ও বিক্ষোভের মতো কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। মূলত তারা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান করছেন।
সেভ আওয়ার আর্থ স্লোগানে মুখরিত গ্লাসগোর মূল ক্যাম্পাস।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে দ্রুত গাড়িতে তেল জ্বালানি নিষিদ্ধ করা, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ থেকে দ্রুত সরে আসা, বৃক্ষনিধন কমানো। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে উপকূলবাসীকে রক্ষা করা।
আমাজান পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জঙ্গল। এটিকে পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয়। এই বনকে রক্ষা করার আকুতি জানিয়েছেন একদল ব্রাজিলিয়ান অবজার্ভার।
Advertisement
গভীর আমাজান জঙ্গলে এখনো সভ্যতার আলো ছাড়া বাস করে প্রাচীন উপজাতীয় মানবগোষ্ঠী। এসব উপজাতীয় মানব গোষ্ঠীর বেশে তারা অংশ নিয়েছেন জলবায়ু সম্মেলনে।
স্কটিশ ইভেন্ট সেন্টার, এসইসির বিশাল এলাকার এক পাড়ে গ্রিন জোনে চলছে জলবায়ু সম্মেলনের মূল আয়োজন এবং বিভিন্ন গ্রুপে বিশেষজ্ঞদের আলোচনা ও দর-কষাকষি। তাছাড়া বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার নিজস্ব প্যাভিলিয়নে আলাদা আলাদা আয়োজনে একই সঙ্গে চলছে সভা ও সেমিনার।
এর বাইরে বিক্ষোভ করছেন পরিবেশবাদীরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি পরিবেশ ধ্বংসকারী উন্নয়ন তারা চান না। প্রকৃতিকে আঁকড়ে বাঁচতে চান।
জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোর বিপন্ন আকুতি শোনা গেল। প্রবল ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোয় উন্নয়নের চেয়ে পরিবেশ রক্ষায় নজর দিতে বলেছে ধনী দেশগুলোকে।
এমওএস/এমএইচআর/জেআইএম