দেশে সোমবার (১ নভেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম। টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। কার্যক্রমের তৃতীয় দিনেও কোনো ধরনের অভিযোগ-আপত্তি ছাড়াই চলছে টিকাদান। শিক্ষার্থীরাও বেশ উৎফুল্লতার সঙ্গে টিকা নিচ্ছে।
Advertisement
বুধবার (৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা টিকা নিতে এসেছে। সারিবদ্ধভাবে তারা বুথে প্রবেশ করছে। এ কাজে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছেন স্কাউট, রোভার স্কাউট ও বিএনসিসির প্রতিনিধিরা। টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকেরা।
প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন শিক্ষক জাগো নিউজকে জানান, এদিন মোট চার হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের তিন হাজার ৫০০ জন এবং মতিঝিল মডেল স্কুলের ৫০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। মোট চারটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে এ কেন্দ্রে টিকাদান কার্যক্রম চলবে আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত।
বুধবার সকালে টিকা নেওয়া ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আরাফ আদিব হোসেন জাগো নিউজকে বলে, গতকাল বা আজ সকাল পর্যন্ত একটু ভয় পাচ্ছিলাম। তবে টিকা নেওয়ার সময় আমি কিছুই বুঝতে পারিনি। একই কথা বলে মিনহাজুর রহমান নামে দিবা শাখার অপর শিক্ষার্থী। সে জানায়, যারা আগে টিকা নিয়েছেন তাদের কাছ থেকে জেনেছি কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবুও মনোবল শক্ত রেখেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, টিকা নেওয়া সম্পন্ন হলো। অন্যদেরও নেওয়া উচিৎ।
Advertisement
তবে শিক্ষার্থীরা বেশ উৎফুল্লতার সঙ্গে টিকা নিলেও কিছুটা আতঙ্কিত দেখা যায় অভিভাবকদের। টিকাদান কেন্দ্র থেকে শিক্ষার্থী বের হওয়ার পর পরই তারা যেন স্বস্তি পাচ্ছেন। এ নিয়ে কথা হয় অভিভাবক আফরোজ আফনামের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাচ্চারা টিকা নিচ্ছে এটা ভালো দিক, আবার টেনশনও হচ্ছে। ওরাতো বাচ্চা, ভয় পেয়ে যায় কিনা, কান্না করে কিনা, এসব নিয়ে একটু টেনশন হয়।
ইএআর/কেএসআর/এমএস