বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে শুরু হয়েছে জাতিসংঘের জলবায়ু-বিষয়ক সম্মেলন কপ-২৬। সম্মেলনে ২০৩০ সালের মধ্যে কীভাবে পৃথিবীর কার্বন নিঃসরণ কমানো যায় ও পৃথিবী নামক গ্রহকে কীভাবে বাসযোগ্য করে গড়ে তোলা যায় সেই বার্তা দিয়ে অংশ নিয়েছেন প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধি।
Advertisement
জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষে নতুন রূপে সেজেছে গ্লাসগো। পৃথিবীর অন্যান্য দেশ যেভাবে নতুন নতুন শিল্প কারখানা গড়ে তোলা ও ফার্নেস অয়েল ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়েছে ঠিক বিপরীত দিকে হেঁটেছে গ্লাসগো। জলবায়ুর ক্ষতি হয় এমন কিছুই করে না ছবির মতো সুন্দর গ্লাসগো।
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে জাতিসংঘের জলবায়ু-বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। স্কটিশ ইভেন্ট ক্যাম্পাসে বিশাল আকারে পৃথিবী নামক গ্রহ টানানো হয়েছে। প্রায় ২০০ দেশ থেকে আসা প্রতিনিধিদের মাথার উপর দিয়ে ঘুরছে এই গোলাকার পৃথিবী। সবুজ পৃথিবী তৈরির বার্তা দিয়ে নানাভাবে ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রতিনিধিরা। যেনো বৈশ্বিক উষ্ণতা কমানোর বার্তা দিয়ে মাথার উপরে ঘুরছে পৃথিবী।
টবে করে সাজিয়ে একটি গাছ নিয়ে সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন নাইজেরিয়ার এনজিও কর্মী আহমেদ মোক্তার। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, কারণে-অকারণে গাছ কেটে পৃথিবীকে আমরা ধ্বংস করছি। নিজের জীবন চালাতে যেমন আয় করি তেমনি পৃথিবী বাঁচাতে গাছ লাগানো দরকার।
Advertisement
জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ ফার্নেস অয়েলে। ফার্নেস অয়েলের ব্যবহার কীভাবে কমানো যায় সেই বার্তা দিয়েছেন অনেকে।
রুমানিয়া থেকে এসেছেন বিজ্ঞানী রোকসানা বোজারিও। একটা গ্রুপ হয়ে এখানে অংশ নিয়েছেন তিনি। কীভাবে পৃথিবী থেকে কার্বন নিঃসরণ কমানো যায় সেই বার্তা দিচ্ছেন তিনি।
তিনি বলেন, মানুষের জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের কারণে বিশ্ব ক্রমশ উষ্ণ হয়ে উঠছে। সেজন্য আমরা জলবায়ু সংক্রান্ত ভয়াবহ পরিস্থিতি এড়াতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
নানা বাস্তবতায় স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে শুরু হলো জাতিসংঘের ২৬তম জলবায়ু সম্মেলন, যা কপ নামে বেশি পরিচিত। বিভিন্ন দেশ থেকে জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন মিডিয়া কর্মীরা। এছাড়া সম্মেলন সফল করতে কাজ করছেন ইউএন অবজারভার।
Advertisement
এমওএস/এআরএ