জালালাবাদ গ্যাসের উচ্চ চাপবিশিষ্ট গ্যাস পাইপলাইনের ওপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে চতুর্থ দফায় অভিযান চলছে। উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম পরিদর্শন করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও জালালাবাদ গ্যাসের এমডি প্রকৌশলী শোয়েব আহমদ মতিন।
Advertisement
তিনদিন ধরে এ অভিযান চলছে। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত সিলেট নগরের আখালিয়া, নোয়াপাড়া ও কালিবাড়ী, করেরপাড়া এলাকায় প্রায় চার কিলোমিটার পাইপলাইনের ওপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা দখলমুক্ত করা হয়। এসময় সীমানা প্রাচীর, বহুতলা ভবন, দোকানপাটসহ প্রায় ৪০টি বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। তবে অভিযানের আগে অনেকে নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙে ফেলেন।
জালালাবাদ গ্যাসের অধিগ্রহণ করা ভূমিতে বসতবাড়ি স্থাপিত উচ্ছেদ সংক্রান্ত টাক্সফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডিজিএম আমিরুল ইসলাম জানান, গ্যাস নিরাপত্তা আইনে রয়েছে উচ্চ চাপবিশিষ্ট গ্যাস পাইপলাইনের উভয় পাশে ন্যূনতম ১০ ফুট করে মোট ২০ ফুটের মধ্যে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। যেসব স্থাপনা বিধিবহির্ভূতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে। আগামীতে দক্ষিণ সুরমা এলাকায় অভিযান পরিচালিত হবে।
উদ্ধার অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জালালাবাদ গ্যাসের অধিগ্রহণ করা ভূমিতে বসতবাড়ি স্থাপিত উচ্ছেদ সংক্রান্ত টাক্সফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডিজিএম আমিরুল ইসলাম, ডিজিএম বিপ্লব বিশ্বাস, কমিটির সদস্য ব্যবস্থাপক চন্দন কুমার কুন্ড, ব্যবস্থাপক ফজলুর হক, উপ-ব্যবস্থাপক মোনায়েম সরকার প্রমুখ।
Advertisement
ছামির মাহমুদ/এসআর/এমএস