আইন-আদালত

ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণ: হাসান আল মামুন কারাগারে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাজধানীর লালবাগ থানায় করা মামলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

Advertisement

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন হাসান আল মামুন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে ১৭ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে করা মামলায় প্রধান আসামি বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। চার্জশিটে মামলার আরেক আসামি সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরসহ পাঁচ জনের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

ভিপি নুর বাদে অভিযোগপত্রে অব্যাহতি পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা এবং ঢাবি শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ হিল বাকি।

Advertisement

ধর্ষণ ও ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর রাতে এক ঢাবি শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তাদের মধ্যে ধর্ষণে সহযোগিতাকারী হিসেবে এজাহারে ৩ নম্বর আসামি হিসেবে নুরের নাম উল্লেখ করা হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের সঙ্গে বাদীর পরিচয় হয় এবং সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে গত বছরের ৩ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটার দিকে বাদীকে তার লালবাগের বাসায় যেতে বলেন হাসান আল মামুন। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরদিন বাদী অসুস্থ হয়ে পড়েন।

একই বছরের ১২ জানুয়ারি আরেক আসামি নাজমুল হাসান সোহাগের সহায়তায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন বাদী। এরপর থেকে আসামি হাসান আল মামুন আত্মগোপন করেন। তারপর মামুনের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার কথা বলে ৯ ফেব্রুয়ারি সকালে বাদীকে চাঁদপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। চাঁদপুর পৌঁছানোর পর মামুনকে দেখতে না পেয়ে বাদীর সন্দেহ হয়। ওইদিন বিকেলে ভুক্তভোগীকে নিয়ে ঢাকায় ফেরার জন্য লঞ্চে ওঠেন সোহাগ। লঞ্চের কেবিনে তাকে আবারও ধর্ষণ করা হয়। গত বছরের ২৯ মে সোহাগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেক আইডি খুলে ওই নারীর ফোন নম্বর ছড়িয়ে দেন।

এ বিষয়ে গত বছরের ২০ জুন নুরুল হক নুরকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানান ভুক্তভোগী। বিষয়টি সমাধানের জন্য নুর তাকে আশ্বস্ত করেন। এরপর গত বছরের ২৪ জুন নুর বাদীকে নীলক্ষেতে দেখা করার জন্য ডেকে ‘বাড়াবাড়ি’ করতে নিষেধ করেন এবং কথা না শুনলে হেয়-প্রতিপন্ন করার হুমকি দেন বলেও মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

Advertisement

জেএ/এমআরআর/জিকেএস