অবশেষে শর্তহীনভাবে কন্ডিশনাল ক্যাম্পে যোগ দিতে রাজি হলেন পাকিস্তান ওয়ানডে দলের অধিনায়ক আজহার আলি এবং অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজকে সামনে রেখে ২১ ডিসেম্বর থেকে লাহোরের ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে শুরু হয়েছে পাকিস্তানের কন্ডিশনিং ক্যাম্প। কিন্তু স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ হওয়া মোহাম্মদ আমিরকে ক্যাম্পের অন্তর্ভূক্ত করায় এ থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখেছিলেন আজহার এবং হাফিজ। ২০১০ সালে লন্ডনগেট কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে আমিরসহ তিন পাকিস্তানি ক্রিকেটারকে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি আরোপ করে আইসিসি। ওই শাস্তি থেকে তারা মুক্তি পেয়েছেন চলতি বছরেরই ২ সেপ্টেম্বর। তবে আইসিসির বিশেষ অনুমতিক্রমে আমির পাকিস্তান ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেছেন গত জানুয়ারিতেই। প্রায় এক বছর অপেক্ষার পর এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন এই বাম হাতি পেসার।সে লক্ষ্যেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজকে সামনে রেখে ২৬ সদস্যের প্রাথমিক দলে ডাক পেয়েছেন আমির। কিন্তু নিষিধেজ্ঞার শাস্তি পাওয়া এই ক্রিকেটারের জাতীয় দলে ফেরার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন মোহাম্মদ হাফিজ, আজহার আলিসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার। তারই ধারাবাহিকতায় এবার কন্ডিশনিং ক্যাম্পই বর্জন করলেন হাফিজ এবং আজহার।তবে, আমিরের বিপক্ষে অবস্থান নেয়ার কারণে পিসিবিও আজহার-হাফিজদের প্রতি কঠোর হয়ে ওঠে। পিসিবি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খান জানিয়েছিলেন, তিনি আজহার এবং হাফিজের সঙ্গে কথা বলবেন, বিষয়টা নিরসনের চেষ্টা করবেন। তাতেও যদি কাজ না হয়, তাহলে তারা শাস্তিমূলক অবস্থান গ্রহন করবেন।অবশেষে পিসিবি চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকের পরই ‘শর্তহীন’ভাবে অনুশীলনে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন আজহার এবং হাফিজ। পিসিবি চেয়ারম্যানই মিডিয়ার সামনে জানিয়েছেন বিষয়টা। তিনি বলেন, ‘তারা দু’জন (হাফিজ-আজহার) সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, অনুশীলনে অংশ নেবে। আমি অবশ্যই তাদের বিষয়টাকে সম্মান করি। তবে এর মধ্যে অবশ্যই কিছু আছে, যেগুলোকে মেনে নেয়া যায় না। এরপরই তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে এবং নিশ্চিত করেছে যে, তারা আমার সঙ্গে একই অবস্থানে থাকবে। এখন আমাদের দৃষ্টি সামনের দিকে।’পিসিবি চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে খুশি মোহাম্মদ হাফিজও। তিনি বলেন, ‘আমার দৃষ্টিভঙ্গি ছিল খুবই সাধারণ যে, যিনিই দেশের সম্মান নষ্ট করেছেন, তাকে যেন আর কোন সুযোগ দেয়া না হয়। এটাই ছিল আমার মূল ভূমিকা এবং সারাজীবনই আমি এই অবস্থানে থাকবো।’নিজের খুশির কথা জানিয়ে হাফিজ বলেন, ‘আমাদের সতর্কতামূলক বিষয়টা পিসিবি চেয়ারম্যান শুনেছেন এবং আমাদের নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে, আমাদের উদ্বিগ্নতার বিষয়টা, সর্বোপরি পাকিস্তান ক্রিকেটকে রক্ষা করার সব ধরনের ব্যবস্থা নেবেন তিনি।’নিজের সম্পর্কে হাফিজ বলেন, ‘আমি জানি, আমার প্রতিভা খুবই সাধারণ মানের। তবে এটা তো ঠিক যে, দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ আমি পেয়েছি। পাকিস্তানের সাফল্যে ভূমিকা রাখতে পারলে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করি।’আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement