দেশের দুই অন্যতম সেরা বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল আর সানজামুলের গড়া রাজশাহীর বোলিংকে তছনছ করে প্রথম দিনই সাড়ে তিনশো পেরিয়ে (৭ উইকেটে ৩৬০) গেছে বরিশাল। দারুণ এক সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছেন সোহাগ গাজী।
Advertisement
সঙ্গে একজোড়া হাফ সেঞ্চুরিও আছে। যার প্রথমটি এসেছে ওপেনার মোহাম্মদ আশরাফুলের ব্যাট থেকে। অপর অর্ধশতকটি উপহার দিয়েছেন মিডল অর্ডার ফজলে মাহমুদ রাব্বি।
ওপেনার মোহাম্মদ আশরাফুল খেলেছেন ১০৮ বলে ৫০ রানের (৭ বাউন্ডারি) আত্মবিশ্বাসী ইনিংস। ফজলে মাহমুদের ৭০ রান এসেছে প্রায় টি-টোয়েন্টি মেজাজে; ৫৯ বলে ১১ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায়।
অলরাউন্ডার সোহাগ গাজীও ঝড়ের বেগে একদম টি-টোয়েন্টি স্টাইলে মাঠের চারদিকে বাহারি এবং বিগ হিট খেলে ৯৫ বলে ১১৩ রানের উত্তাল ইনিংস খেলেছেন।
Advertisement
যার ৮০ রানই এসেছে ছক্কা ও বাউন্ডারি থেকে। দশ-দশটি বিশাল ছক্কার মার ছিল সোহাগ গাজীর শতরানে। এছাড়া ৫টি বাউন্ডারিও হাঁকিয়েছেন এ স্পিনিং অলরাউন্ডার।
সোহাগ গাজী আর ফজলে মাহমুদের মারমুখি ব্যাটিংয়ের মুখে একদমই সুবিধা করতে পারেননি সানজামুল ইসলাম নয়ন। আগের ম্যাচগুলোয় নিয়মিত উইকেটের পতন ঘটালেও আজ প্রথমদিন সানজামুলের ঝুলিতে মাত্র ১ উইকেট জমা পড়েছে। এজন্য তাকে দিতে হয়েছে ১০১ রান (২৬ ওভারে)।
অপর বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ২ উইকেট পেয়েছেন অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে (১০৭ রানে)। সে তুলনায় পেসার নাহিদ রানা সমীহ জাগানো বোলিং করে ৪৭ রানে দখল করেছেন ২ উইকেট। রাজশাহীর পক্ষে অপর দুই উইকেট পেয়েছেন আরেক পেসার আসাদুজ্জামান পায়েল।
বরিশাল: প্রথম ইনিংসঃ ৩৬০/৭, ৯০ ওভার (আশরাফুল ৫০, ফাজলে মাহমুদ ৭০, সালমান ৩৩, মোসাদ্দেক সৈকত ২৩, সোহাগ গাজী ১১৩, শামসুল ৫৬ নট আউট; আসাদুজ্জামান পায়েল ২/৮৮ , নাহিদ রানা ২/৪৭, তাইজুল ২/১০৭) ।
Advertisement
এআরবি/আইএইচএস