আইন-আদালত

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে নীতিমালা প্রণয়নে রুল

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে নতুন আত্তীকরণ নীতিমালা প্রণয়নে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নীতিমালা প্রণয়নে নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়।

Advertisement

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব (মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ) এবং শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ও সংশ্লিষ্ট নয়জনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

জাতীয়করণ হওয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৮ শিক্ষকের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেওয়া হয়।

রোববার (৩১ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহীম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

Advertisement

বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।

আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট বিপুল বাগমার।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, আপিল বিভাগ সপ্তম সংশোধনীকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন।

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হতে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত জারিকৃত কিছু অধ্যাদেশ কার্যকর করার লক্ষ্যে ২০১৩ সালে একটি আইন প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু এখনো জাতীয়করণ হওয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে কোনো বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়নি।

Advertisement

১৯৮৩ সালের বিধিমালা দিয়ে এখনো মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ কার্যক্রম চলছে। ফলে শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের চাকরির বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন।

রিটকারীরা জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষকদের জন্য আত্তীকরণ বিধিমালা প্রণয়ন করা হলেও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণে কোনো বিধিমালা করা হয়নি। তাই রিটটি করা হয়।

রিটকারীরা হলেন- মো. আজিম উদ্দিন, পরিমল চন্দ্র সরকার, মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম, মো. শাহনওয়াজ, মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, শাহজাহান খাঁন, মো. মামুনুর রশিদ চৌধুরী, মোহাম্মদ মনজুরুল হাসান, মো. সাখাওয়াত হোসেন এবং মোহাম্মদ সিরাজুল হকসহ ১৮ শিক্ষক।

এফএইচ/জেডএইচ/জিকেএস