মহামারি করোনাকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ২০ লাখেরও বেশি যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা (হেলথ স্ক্রিনিং) করা হয়।
Advertisement
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের মাসখানেক আগে থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিদেশফেরত প্রত্যেক যাত্রীর হেলথ কার্ড সংগ্রহ করা হয়। সেই সঙ্গে বিমান থেকে অবতরণের পর যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের পাশাপাশি জ্বর, ঠান্ডা ও কাশিসহ করোনার উপসর্গ রয়েছে কি না তা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) পর্যন্ত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সর্বমোট ২০ লাখ ৮ হাজার ৮০১ জন বিদেশফেরত যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে ৮৬ হাজার ৮৮৭ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন ও অন্যান্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। বিমানবন্দরের হেলথ ডেস্ক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, সর্বশেষ তথ্যমতে ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন দেশ থেকে ৪৬টি ফ্লাইটে ৬ হাজার ২৫৫ জন যাত্রী দেশে আসেন। তাদের মধ্যে ওমানের মাস্কাট থেকে কিউজেড-২২২ ফ্লাইটের ১৩৮ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ও অন্যদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
Advertisement
এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে এলেও অন্য দেশ থেকে দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বন্দরে (বিমান, স্থল, সমুদ্র ও রেলওয়ে স্টেশন) বিদেশফেরত যাত্রীদের হেলথ স্ক্রিনিং অব্যাহত রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের তথ্যানুসারে, শুরু থেকে শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দর, স্থল, সমুদ্র ও রেলওয়ে স্টেশনে সর্বমোট ৩০ লাখ ৯ হাজার ৩৬ জনের হেলথ স্ক্রিনিং করা হয়েছে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে ২২ লাখ ৯৭ হাজার ২১০ জন, স্থলবন্দরে পাঁচ লাখ ৯৩ হাজার ৩৪২ জন, সমুদ্রবন্দরে এক লাখ ১১ হাজার ৪৫৩ জন ও রেলওয়ে স্টেশনে সাত হাজার ২৯ জনের হেলথ স্ক্রিনিং হয়েছে।
সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে ছয় হাজার ২৩৮ জন, স্থলবন্দরে এক হাজার ১১৯ জন এবং সমুদ্রবন্দরে ২১৮ জনের হেলথ স্ক্রিনিং হয়। হেলথ স্ক্রিনিং শেষে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, কাউকে হোম কোয়ারেন্টাইন কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
মাস দেড়েক আগেও বিপুল সংখ্যক বিদেশফেরত যাত্রীকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে যেতে হতো। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার দুই ডোজ টিকা নিয়ে দেশে আসা যাত্রীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে।
Advertisement
এমইউ/এমআরআর/এএসএম