পাবনার সুজানগরে প্রেমঘটিত কারণে প্রেমিকের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রেমিকের পরিবারের তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার হাটখালী ইউনিয়নের বারোভাগিয়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন-প্রেমিকের চাচা আজাহার মোল্লা (৬৩) ও আজগর মোল্লা (৪৪) এবং চাচাতো ভাই খায়রুল মোল্লা (৩২)। রাতেই তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় ও হামলায় আহত পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বারোভাগিয়া গ্রামের মোবারক মোল্লার ছেলে শওকত মোল্লা ও বক্কার বিশ্বাসের মেয়ে তানিয়া খাতুনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। প্রেমিক শওকত মোল্লা মালিফায় অবস্থিত সেলিম রেজা হাবিব ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র এবং প্রেমিকা তানিয়া খাতুন পার্শ্ববর্তী কামালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী। সম্প্রতি তাদের প্রেমের বিষয়টি দুই পরিবারের মধ্যে জানাজানি হয়। তবে পারিবারিকভাবে কেউ এ সম্পর্ক মেনে নেননি। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে শওকতের বাড়িতে হামলা চালানো হয়।
Advertisement
শওকত মোল্লার চাচাতো ভাই কামাল হোসেন মোল্লা বলেন, ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে তানিয়ার পরিবারের লোকেরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। এতে আমাদের তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ আজগর মোল্লা ও আজাহার মোল্লাকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খায়রুল মোল্লাকে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
তবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন প্রেমিকার চাচাতো ভাই আনিছ বিশ্বাস ও ঝন্টু বিশ্বাস। তারা জাগো নিউজকে বলেন, তারা বা তাদের ভাড়াটে কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, বারভাগিয়া গ্রামে দুটি পরিবারের ছেলে ও মেয়ের সম্পর্কের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরপরই তিনিসহ পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর ২টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে তিনি জানান।
সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সেলিম মোর্শেদ বলেন, সুজানগরে একজন ভর্তি রয়েছেন। তিনি মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত। আরও দুজন পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
Advertisement
আমিন ইসলাম জুয়েল/এসআর/এএসএম