চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত থেকে আমদানি করা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার মাধ্যমে এ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) পর্যন্ত দেশে প্রায় ৭ কোটি মানুষকে টিকাদান করা হয়েছে। এর মাঝে ৭১ শতাংশই চীনের সিনোফার্মের টিকা।
Advertisement
শুরুতে শুধুমাত্র ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদান করা হলেও পরবর্তীতে তা বদলে যায়। ভারত হঠাৎ করে টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দিলে দেশেও বন্ধ হয়ে যায় টিকাদান। এরপর টিকা সংগ্রহে নানামুখী উদ্যোগ ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় দেশে আসে ফাইজার, সিনোফার্ম এবং মর্ডানার টিকা। পরবর্তীতে আবার ভারতের সিরাম থেকেও টিকা আসে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তররের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের তথ্যানুসারে, ২৭ জানুয়ারি থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত নয় মাসে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ৬ কোটি ৮২ লাখ ৯২ হাজার ৯২৭ ডোজ।
তাদের মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৪ কোটি ১৫ লাখ ১৬ হাজার ৪৭২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২ কোটি ৬৭ লাখ ৭৬ হাজার ৪৫৫ জন।
Advertisement
স্বাস্থ্য অধিদপ্তররের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এর মাঝে ৭১ শতাংশ সিনোফার্মের, ফাইজারের ১ দশমিক ০৭ শতাংশ, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২০ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং মডার্নার ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
গত নয় মাসে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ ৮৪ লাখ ৪১ হাজার ১১৯ জন ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫৪ লাখ ৭১ হাজার ৪২২ জন। ফাইজারের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৬ লাখ ১৩ হাজার ২৭৮ জন ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ২১ হাজার ৫৮১ জন। সিনোফার্মের টিকার প্রথম ডোজ ২ কোটি ৯৭ লাখ ৬৩ হাজার ৮৮৩ জন ও দ্বিতীয় ডোজ ১ কোটি ৮৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯৬৭ জন এবং মর্ডানার প্রথম ডোজ ২৬ লাখ ৯৮ হাজার ১৯২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২৫ লাখ ১৯ হাজার ৪৮৫ জন।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) গণটিকাদান কর্মসূচির দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার দিনে রাজধানীসহ সারাদেশে (গণ ও নিয়মিত মিলিয়ে) টিকা নিয়েছেন ৫৬ লাখ ৯১ হাজার ৮২৮ জন। তাদের মধ্যে প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ২ লাখ ৪৭ হাজার ২৬২ জন ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ৫৪ লাখ ৪৪ হাজার ১৬৬ জন।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) পর্যন্ত টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯৩ হাজার ১৮৭ জন। তাদের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ৫ কোটি ৭০ লাখ ৫৪ হাজার ৫৭৪ জন এবং পাসপোর্টের মাধ্যমে নিবন্ধন করেছেন ৮ লাখ ৩৮ হাজার ৬১৩ জন।
Advertisement
এমইউ/এমএইচআর/জিকেএস