অর্থনীতি

পুঁজিবাজার-স্টার্টআপ ক্ষতিগ্রস্ত হয় লোভের কারণে: অর্থমন্ত্রী

ই-কমার্স গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার বিষয় উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, মানুষের লোভের কারণে পুঁজিবাজার-স্টার্টআপ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর মানুষের লোভকে পুঁজি করেই অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অর্থনীতির যেকোনো ক্ষেত্রে সেটা পুঁজিবাজার হোক বা স্টার্টাআপ হোক, এগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় মানুষের লোভের কারণে। যেমন ১০ টাকার পণ্য কীভাবে এক টাকায় বিক্রি করে, সেটা আমার বিশ্বাস হবে নাকি? প্রতারকরা মানুষের অতিলোভকে পুঁজি করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। স্টার্টআপ সব দেশে আছে, অ্যামাজনেও এভাবেই ব্যবসা শুরু করেছিলো। তবে তাদের নির্দিষ্ট একটি ফ্রেমওয়ার্ক আছে, তার বাইরে তারা যায় না। আমাদের দেশে কিছুই নেই। শুধু সুখবর সুখবর। এক্ষেত্রে আমরা প্রাইমেটিক যুগে আছি।

যুবকে প্রশাসক বসানোর বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কেন মানছে না, তা নিয়ে আপনারা রিপোর্ট করুন। কেন মানলো না বড় প্রতিবেদন করুন।

Advertisement

সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে প্রশংসা করেছে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক আইএমএফ দুদিক থেকে একটা দেশের অর্থনীতিকে মূল্যায়ন করে। এটি মাইক্রো লেভেল, আরেকটি ম্যাক্রো লেভেল। তাদের অবজারভেশনে যেসব দেশকে ভালো অবস্থানে রেখেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। এর অন্যতম কারণ, করোনার মধ্যেও আমরা থামিনি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এখনও খোলেনি। কিন্তু আমরা থেমে নেই। আমাদের সবকিছুই স্বাভাবিক।

মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে পরিকল্পনা বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, মানুষের ভাগ্য মানুষ নিজেই পরিবর্তন করবে। সরকারের কাজ হচ্ছে তাদের সাহায্য-সহযোগিতা, উৎসাহ দেওয়া। যে যে জায়গায় তারা আটকে যাবে, সে জায়গায় সরকার সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। মানুষের ভাগ্য বদলাতে শুরু করেছে। গত ১০ থেকে ১২ বছরে মানুষের মধ্যে পরিবর্তনটা বেশ লক্ষণীয়। আরও পরিবর্তন আসবে। রাতারাতি সব বদলে যাবে এমনটা ভাবার সুযোগ নেই।

অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের রূপান্তরে দুটি উপাদান বড় ভূমিকা রাখছে। এর একটি হল শিক্ষা, অন্যটির নারীর ক্ষমতায়ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব নারীর ক্ষতায়কে অন্যন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। বিশ্বে অন্যকোনো দেশ অল্প সময়ের মধ্যে এতো দ্রুত এটি করতে পারেনি। দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী, অর্ধেক পুরুষ। নারীরা কাজ না করলে দেশ এগোবে না, সবাইকেই কাজ করতে হবে। আর শিক্ষার মান আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার ঘটেছে। অন্য আরেকটি বিষয় আছে ধর্ম। বাংলাদেশের উন্নয়ন ধর্ম একটি হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে। এখানে একজনের বিপদে আরেকজন পাশে দাঁড়ায়। কেউ না খেয়ে থাকলে অন্যরা এগিয়ে আসে।

আইএইচআর/এমএএইচ/জিকেএস

Advertisement