প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ তিনজন ও নারী তিনজন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৮৪৭ জনে।
Advertisement
একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২৯৪ জন। ফলে দেশে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ৮৫৭ জনে। এর আগের দিন (২৭ অক্টোবর) করোনায় সাতজনের মৃত্যু হয় ও সংক্রমিত হন ৩০৬ জন।
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি-বেসরকারি ৮৩৩টি ল্যাবরেটরিতে ১৯ হাজার ৪৩৫টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৯ হাজার ৫৩৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্ত হন ২৯৪ জন। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।
Advertisement
এ নিয়ে রোগী শনাক্ত করতে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩ লাখ ১ হাজার ৫৯৩টি। মোট শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ৮৫৭ জন। দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ রোগী শনাক্তের পর এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ২৩ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চারজন ও বেসরকারি হাসপাতালে দুইজন মারা গেছেন। এছাড়া বয়স বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তাদের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ একজন, ষাটোর্ধ্ব দুইজন ও ৭০ বছরের বেশি বয়সী দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
বিভাগওয়ারি হিসাবে দেখা যায়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ছয়জনের মধ্যে ঢাকার চারজন ও চট্টগ্রামের দুইজন।
এতে আরও বলা হয়, করোনা থেকে একদিনে সেরে উঠেছেন ২২৭ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে উঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫ লাখ ৩২ হাজার ৬৯৫ জনে। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭০ শতাংশ।
Advertisement
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে (করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
এমইউ/এআরএ/জিকেএস