জাতীয়

টেকসই উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধ সামাজিক শক্তি প্রয়ােজন

বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধ সামাজিক শক্তির পাশাপাশি ভিন্নমতকে প্রধান্য দিয়ে সমালােচনামূলক সুশীল সমাজ বিকাশের সুযােগ দিতে হবে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

Advertisement

বুধবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে ‘বৃহত্তর নাগরিক সমাজ সংগঠন বিকাশে অন্তর্ভুক্তিমূলক-সহনশীলতার সংস্কৃতি’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে এ অভিমত প্রকাশ করেন তারা। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি ড. আতিউর রহমান।

সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য সামাজিক মূলধনকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চারটি নীতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করতে হবে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে গ্র্যান্ড বার্গেইন, উন্নয়ন কার্যকারিতা ও চার্টার ফর চেঞ্জ আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতিমালা পূরণ করার আহ্বান জানান।

ড. আতিউর রহমান বলেন, বিশ্বব্যাপী করােনা ভ্যাকসিন নিয়েও একধরনের বর্ণবাদ এবং দ্বন্দ্ব রয়েছে। অথচ বাংলাদেশ তার সীমিত সামর্থ্য নিয়েই লাখ লাখ রােহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে, এটা আমাদের জন্য অবশ্যই গর্বের বিষয়। রােহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক শক্তি ও সম্প্রদায়ের উদ্যোগ খুবই সীমিত। এটি আমাদের অর্থনীতির ওপর বিশাল চাপ, কিন্তু আমরা তাদের মর্যাদা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশিরা নৈতিকতা ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

Advertisement

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর জুডিথ বারবার্টসন বলেন, ব্রিটিশ জনগণ স্থানীয়করণ এবং স্থানীয় সুশীল সমাজকে সহযােগিতা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এরই মধ্যে স্থানীয় এনজিও ও সিএসওগুলোর সঙ্গে যৌথ চাহিদা মূল্যায়ন এবং সমন্বয় কাঠামাে রয়েছে আমাদের। ব্রিটিশ সরকার এখানে একটি প্রাণবন্ত সুশীল সমাজ দেখতে চায়।

হিউম্যানিটারিয়ান এইড ইন্টারন্যাশনালের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সুধাংশু শেখর সিং বলেন, অন্তর্ভুক্তি এবং সহনশীলতার ক্ষেত্রে ভিন্নমতকেও শুনতে হবে এবং সমালােচনামূলক সুশীল সমাজ বিকাশের সুযােগ রাখতে হবে। তিনি ধনী দেশের পরামর্শ মতাে কাজ না করে তৃতীয় বিশ্বের নাগরিক সমাজকে তাদের নিজস্ব বিষয়বস্তু তৈরি করার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর'র প্রতিনিধি জোহানেস ভ্যান ডার ক্লাউ বলেন, ইউএনএইচসিআর রােহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। সংস্থাটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণভাবে সরকারের সঙ্গে রয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বাংলাদেশি জনগণ ও সরকারের উদারতার প্রশংসা করেন।

এসএম/এমএএইচ/এএসএম

Advertisement