আর কখনও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলার স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেস বোলিং অলরাউন্ডার ক্রিস মরিস। তবে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার নিয়ে অসন্তুষ্টি নেই তার। বরং নিজের জীবন ও ক্যারিয়ার নিয়ে তৃপ্ত এ তারকা অলরাউন্ডার।
Advertisement
তার বয়স এখনও ৩৫ হয়নি। কিন্তু লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলে সুযোগ পাচ্ছেন না বিধায়, আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ বলেই ধরেই নিয়েছেন মরিস। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর ঘোষণা করার কোন পরিকল্পনা নেই এ ডানহাতি পেস বোলিং অলরাউন্ডারের।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে মরিস বলেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে আমার খেলোয়াড়ী দিন শেষ। আমি তাদের মধ্যে নই যে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে অবসর নেবে। তারা (দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ড) জানে আমার অবস্থান কী, আমিও জানি আমার অবস্থান কী। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে আমার দিন শেষ। আমার মতে, তারা এটি জানে।’
ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কোনো ঝামেলার কারণে কি এমন মন্তব্য করলেন তিনি? মরিস জানিয়েছেন, সম্প্রতি বোর্ডের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি তার। এসময় দক্ষিণ আফ্রিকার দুই কিংবদন্তি ফাফ ডু প্লেসি এবং ইমরান তাহিরের উদাহরণও টানেন মরিস।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘বেশ কিছুদিন যাদের সঙ্গে কথা বলা দরকার, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। এরপর আমি আর বোর্ডের কারও সঙ্গে কথা বলিনি। দিন শেষে তারা ফাফ ও তাহির কিংবা আমার সঙ্গে যেমন করেছে, তারপর আমার কোনো মন্তব্য করার সুযোগ নেই।’
মরিস আরও যোগ করেন, ‘কোনো আলোচনার অংশ ছিলাম না আমি। গত এক বছর কিংবা আরও বেশি সময় ধরে কোনো কথা হয়নি। তাই কোথায় কী হচ্ছে তা বলতে পারব না। বেশ কিছু ঘটনা শোনা যাচ্ছে। আমি জানি কোনটা আমার বিশ্বাস করতে হবে।’
আনুষ্ঠানিক অবসর ঘোষণা করলেন না কেন? মরিসের উত্তর, ‘অবসরের কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি কারণ আমি এমনই। তবে যেমনটা বললাম, আমার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ। আমি এখন ঘরোয়া ক্রিকেটে মনোযোগ দিচ্ছি এবং দলকে যতটা সম্ভব ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টায় আছি।’
এসময় নিজের জীবন নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে তিনি আরও যোগ করেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তিন ফরম্যাট খেলার ভাগ্য হয়েছে আমার। দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছি আমি। এখন আমি আবার জীবন ও ক্যারিয়ার নিয়ে সন্তুষ্ট।’
Advertisement
২০১২ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বিস্তৃত আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তিন ফরম্যাট মিলে ৬৯ ম্যাচ খেলেছেন মরিস। যেখানে তার সংগ্রহ ৭৭৩ রান ও ৯৪টি উইকেট। সবশেষ ২০১৯ সালের জুলাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলেছেন তিনি।
এসএএস/জিকেএস