দেশজুড়ে

নির্বাচনে ব্যক্তি ইমেজ হারিয়ে গেছে প্রতীকের মাঝে

প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই সরগরম হয়ে উঠেছে ঠাকুরগাঁও পৌরসভা নির্বাচন। তবে বরাবরের মতো ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে ব্যক্তি ইমেজ আর থাকছে না। ঘটছে উল্টো ঘটনা। ব্যক্তিকে ছাড়িয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে দলীয় প্রতীক। আর এ কারণে পৌরসভার নির্বাচন রূপ নিয়েছে সম্পূর্ণ ভিন্ন মাত্রায়। মূলত প্রার্থীদের ব্যক্তিগত দোষ-গুণ, ভোটারদের পছন্দ-অপছন্দ সবকিছুই চাপা পড়েছে প্রতীকের আড়ালে। বিশেষ করে নৌকা আর ধানের শীষের নেতাকর্মী আর সমর্থকদের আবেগে লড়াই শুরু হয়েছে প্রতীকের। দুই প্রতীকের পোস্টার ঝুলছে ঠাকুরগাঁও পৌর এলাকার অলিগলিতে।এবারের পৌর নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও জেলায় তিনটির মধ্যে দুটি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একটিতে সীমানা জটিলতার কারণে ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে ইসি। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া পৌরসভা দুটি হলো, ঠাকুরগাঁও সদর ও পীরগঞ্জ। তবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চলছে বেশি ঠাকুরগাঁও পৌরসভাটি। ঠাকুরগাঁওয়ে এবার পৌরসভায় মেয়র প্রার্থী চারজন। আওয়ামী লীগ মনোনীত তাহমিনা আক্তার মোল্লা  বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ছোট ভাই মির্জা ফয়সল আমিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক পৌর চেয়ারম্যান সালোয়মার আলী সরকার (মোবাইল ফোন) ও মাহাফুজুল ইসলাম (নারিকেল গাছ) প্রতীকে লড়ছেন। এ চার মেয়র প্রার্থীসহ তোড়জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন সংরক্ষিত আসন ও সাধারণ কাউন্সিলরাও। ভোটাররা মন্তব্য করেন, আগের অনুষ্ঠিত সব স্থানীয় নির্বাচনে ব্যক্তি ইমেজের প্রভাব ছিল। কিন্তু বর্তমান নির্বাচনে সে প্রভাব হারিয়ে গেছে দলীয় প্রতীকের মাঝে। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তাহমিনা আক্তার মোল্লা বলেন, নৌকা প্রতীক বাংলার মানুষের আস্থার প্রতীক। যখনই নৌকা জয়ী হয় তখনই বাংলাদেশের উন্নতি হয়।এ বিষয়ে বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী মির্জা ফয়সল আমিন বলেন, ভোট সুষ্ঠু হলে ধানের শীষ প্রতীক (বিএনপি) বিপুল ভোটে জয়ী হবেই। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বলেন, ‘বর্তমান সদর দলীয় মেয়র পৌর এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছে। বিএনপির প্রার্থী হেরে যাবার ভয়ে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন।তাহমিনা আক্তার মোল্লা দাবি করেন, যেহেতু তিনি বর্তমান সরকার দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। তাই তিনি জয়লাভ করলে তার পক্ষে পৌর এলাকার বেশি উন্নয়ন করা সম্ভব হবে।স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক পৌর চেয়ারম্যান সোলায়মান আলী সরকার জাগো নিউজকে জানান, দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ার কারণে সমাজে ভালো ব্যক্তিত্বরা নির্বাচনে প্রার্থী হলেও ব্যক্তিগত ইমেজ কাজে আসছে না। তবে তিনি মন্তব্য করে বলেন, সমাজের মানুষ পৌর উন্নয়নের জন্য দল মত নির্বিশেষে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তিনি জয়ী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।এদিকে, কোনো প্রার্থী যাতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন না করতে পারেন সে দিকে নজর রাখছেন জেলা নির্বাচন কমিশন।রবিউল এহসান রিপন/এমজেড/এমএস

Advertisement