গণমানুষের কল্যাণেই প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা দরকার বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের। তিনি বলেছেন, শোষণের জন্য তৈরি ব্রিটিশদের প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙে গণমানুষের জন্য সেবাধর্মী নানা সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে প্রাদেশিক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন জাতীয় সমন্বয় কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
সভায় জি এম কাদের বলেন, ব্রিটিশরা শাসন করতে প্রশাসক নিয়োগ করেছিলেন। শোষণের জন্য রাজা-বাদশারাও শাসক নিয়োগ করেছে। কিন্তু, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ চেয়েছিলেন, গণমানুষের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দিয়েই শাসনের বিপরীতে কল্যাণময় সেবা চালু করতে। তাই, বর্তমান বাস্তবতায় পল্লীবন্ধুর স্বপ্নের প্রাদেশিক সরকার পদ্ধতি বাস্তবায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, নতুন নতুন প্রশাসনিক বিভাগ তৈরি হচ্ছে। তা উপনিবেশিক শাসন পদ্ধতিতেই প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে কাজ করছে। কিন্তু, প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা চালু হলে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই পরিচালিত হবে সব কর্মকাণ্ড। প্রাদেশিক পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে দুর্নীতি কমে যাবে। গণমানুষের কাছে জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। গণমানুষের কল্যাণেই প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা চালু করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
Advertisement
জি এম কাদের আরও বলেন, প্রাদেশিক ব্যবস্থায় রাষ্ট্র ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ হবে, এতে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর থেকে চাপ কমে যাবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রাদেশিক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন জাতীয় সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও প্রাদেশিক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন জাতীয় সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুনীল শুভ রায়, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও প্রাদেশিক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন জাতীয় সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক মীর আব্দুস সবুর আসুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও প্রাদেশিক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান প্রমুখ।
আরএসএম/এমআরআর/এএসএম
Advertisement