দীর্ঘ ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে দলবেঁধে ইলিশ শিকারে নেমেছেন জেলেরা। তবে আশানুরূপ ইলিশ না পেয়ে হতাশ হচ্ছেন তারা। এখন ধার-দেনা ও ঋণের টাকা পরিশোধ নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন জেলেরা।
Advertisement
সরেজমিন মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ভোলা সদরের ধনিয়া তুলাতুলি মৎস্য ঘাটে গিয়ে জানা গেছে, মা ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সোমবার (২৫ অক্টোবর) দিনগত রাত ১২টার পর থেকে দলবেঁধে মেঘনায় মাছ শিকারে নেমে পড়েন কয়েক হাজার জেলে। গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদীতে জাল ফেললেও উঠে আসেনি কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। ফলে সকাল থেকে দুচিন্তা নিয়েই ঘাটে ফিরেছেন জেলেরা।
তুলাতুলি এলাকার মেঘান নদীর জেলে মো. শিপন মাঝি জাগো নিউজকে বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমরা পাঁচজন জেলে নদীতে ইলিশ শিকারে গিয়েছিলাম। সকাল ৭টা পর্যন্ত নদীতে জাল ফেলি। তবে মাত্র বড় সাইজের দুটি ও চারটি জাটকা পেয়েছি। ঘাটে সেগুলো বিক্রি করে তিন হাজার ৮০০ টাকা পাই। কিন্তু ট্রলারের তেল ও আমাদের নাস্তা খরচ বাবদই ব্যয় হয়েছে দুই হাজার ৫০০ টাকা।
তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, নিষেধাজ্ঞার পরে আশা করেছিলাম নদীতে অনেক মাছ ধরতে পারবো। কিন্তু গতরাত থেকে সকাল পর্যন্ত জাল ফেলে আশানুরূপ ইলিশ পাইনি।
Advertisement
একই এলাকার জেলে ছিডু মাঝি ও আলাউদ্দিন মাঝি বলেন, ২২ দিন নদীতে মাছ ধরতে না পেরে ধার-দেনা করে সংসার চালাইছি। সমিতির কিস্তিও দিতে পারেনি। ভাবছিলাম নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে নদীতে গিয়ে বড় বড় অনেক ইলিশ ধরতে পারমু। কিন্তু তেমন মাছই তো পাচ্ছি না। কোনো কোনো মাঝির ট্রলারের তেলের টাকা উঠলেও ভাগিরা ৯০ থেকে ১০০ টাকার মতো করে পাচ্ছেন।
তারা বলেন, নদীতে যদি ভালো মাছ না পাই তাহলে ধার-দেনা ও সমিতির কিস্তি পরিশোধ করমু কিভাবে? আর বউ বাচ্চাদের কী খাওয়াবো? আমরা খুবই চিন্তিত রয়েছি।
ভোলা সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জামাল হোসাইন জাগো নিউজকে বলেন, সকাল থেকে আমি বেশ কয়েকটি ঘাটে গিয়েছি। মোটামুটি ভালোই মাছ দেখেছি। বিকেলে আরও কয়েকটি ঘাটে যাবো। তারপর বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারবো। তবে দিন দিন নদীতে ইলিশের পরিমাণ বাড়বে পাবে বলে তিনি দাবি করেন।
জুয়েল সাহা বিকাশ/এসআ/এমএস
Advertisement