চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ২০০৩ সালে বহুল আলোচিত, চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক ট্রিপল মার্ডার মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন সাজা দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন আপিল বিভাগ।
Advertisement
একইসঙ্গে মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আট আসামির মধ্যে তিনজনের সাজা বহাল রেখেছেন সর্বোচ্চ আদালত। দুজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। বাকি তিন আসামির হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় বহাল রয়েছে।
এ সংক্রান্ত আপিলের শুনানি নিয় মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বিচারপতির ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ রায় দেন।
এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আশরাফ উজ জামান খান ও শিরিন আফরোজ।
Advertisement
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ সাংবাদিকদের জানান, বহুল আলোচিত চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ২০০৩ সালে চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার মামলায় আজ চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
তিনি বলেন, রায়ে বিচারিক আদলতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির সাজা (মোডিফিকেশন করে) কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আপিল আদালত। সেইসঙ্গে বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আট আসামির মধ্যে তিনজনের সাজা বহাল রেখেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া এলাকায় ২০০৩ সালে প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাসীরা আবুল কাশেম, আবুল বশর ও বাদশা আলম নামে তিন সহোদরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতদের ভাই কাজি মফজল মাস্টার ২২ জনকে আসামি করে হাটহাজারী থানায় মামলা করেন। বিচার চলাকালীন একজন মারা গেলে আদালত বাকি ২১ আসামির পাঁচ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর, আট জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে দু’বছর কারাদণ্ড ও বাকি ৮ জনকে খালাস দেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এলে ডেথফোরেন্স ও আপিল আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে সবাইকে খালাস দিয়ে রায় দেন উচ্চ আদালত।
Advertisement
এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই আপিলের শুনানি নিয়ে আজ আপিল বিভাগ চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন।
এফএইচ/এমকেআর/এমএস