দেশজুড়ে

বগুড়ায় হত্যা-অস্ত্র মামলার আসামিরা পেলেন আ’লীগের মনোনয়ন

বগুড়ার শাজাহানপুরের ৯ ইউপিতে নির্বাচন আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নব্য-আওয়ামী লীগ, হত্যা ও অস্ত্র মামলার আসামিসহ বিতর্কিতরা দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

Advertisement

জানা গেছে, উপজেলার গোহাইল ইউপিতে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আলী আতোয়ার তালুকদার ফজু। তিনি নব্য আওয়ামী লীগ নেতা। গত নির্বাচনের কয়েকদিন আগে বিএনপি থেকে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েই নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেন। এর আগে তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯১-২০১৬ পর্যন্ত টানা চার বার বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে জয়লাভ করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলী ইমাম ইনোকী বলেন, আলী আতোয়ার তালুকদার ফজু অনুপ্রবেশকারী। বিএনপি-জামায়াত জোটের জ্বালাও-পোড়াও, নৈরাজ্যে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন তিনি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন চালানো ব্যক্তি নৌকা প্রতীক পাওয়ায় দলীয় নেতাকর্মীরা হতাশ হয়েছেন।

খরণা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান শাহিন। তার নামে অস্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা বিচারাধীন। ২০১৬ সালে উপজেলার উমরদীঘি স্ট্যান্ডে সাজেদুর রহমান শাহিনের প্রাইভেটকার তল্লাশি করে পিস্তল ও বিস্ফোরকদ্রব্য জব্দ করে পুলিশ।

Advertisement

মাঝিড়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান। তার নামে দুইটি হত্যা মামলাসহ প্রায় এক ডজন মামলা বিচারাধীন। উপজেলা যুবলীগের সদস্য সাজু আহমেদের বিরুদ্ধে পা কাটাসহ জমি দখল, বিচার সালিশের নামে নিরীহ মানুষকে মারপিট, সাধারণ মানুষকে জিম্মি সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতের অভিযোগ রয়েছে।

উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বাদশা আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে উড়ে এসে জুড়ে বসা বিতর্কিত ব্যক্তি নৌকা প্রতীক পাওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশার পাশাপাশি চাপা ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

অপর দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তরা হলেন, আশেকপুর ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ফিরোজ আলম, আড়িয়া ইউনিয়নের উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহিদুল হক আরজু, আমরুল ইউনিয়নে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রঞ্জু, চোপীনগর ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজার রহমান বাবলু, খোট্টাপাড়া ইউনিয়নে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল্লাহ আল ফারুক এবং মাদলা ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারী মন্ডল। তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকলেও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

শাজাহানপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালেবুল ইসলাম বলেন, তৃণমূল আওয়ামী লীগের মতামতের ভিত্তিতে নামের তালিকা করে জেলার মাধ্যমে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিলো। কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে কিছু বলার নেই।

Advertisement

বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আল রাজি জুয়েল বলেন, শুনেছি অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু প্রার্থী তালিকা তৈরি করে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি। আমরা শুধু কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিই। তবে অভিযোগের বিষয়টি কেন্দ্রে জানানো হয়েছে।

ইউএইচ/এমএস