পদ্মা নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকরা নিয়মিত ভিড় করেন পদ্মা পাড়ে। তাদের সুবিধার্থেই এবার পদ্মা পাড়ে নির্মিত হয়েছে ভাসমান রেস্টুরেন্ট।
Advertisement
যদিও উত্তাল নদীতে রেস্টুরেন্টটি তৈরি করা মোটেও সহজ ছিলো না। এরই মধ্যে হয়তো অনেকেই পদ্মা পাড়ের ভাসমান রেস্টুরেন্ট থেকে ঘুরে এসেছেন।
স্রোতস্বিনী পদ্মার বুকেই গড়ে তোলা হয়েছে ‘ড্রিম পদ্মা ভাসমান রেস্টুরেন্ট’ ও ‘পদ্মা বাড়ি ভাসমান রেস্টুরেন্ট’। পদ্মা বাংলাদেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী।
বিখ্যাত উপন্যাসিক মানিক বন্ধোপাধ্যায়ের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসে ফুটে ওঠে পদ্মা পাড়ের মানুষের জীবন চিত্র। সেখানে টিকে থাকা মোটেও সহজ নয়।
Advertisement
পদ্মার মতো এমন খরস্রোতা নদীর উপরেই তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকটি ভাসমান রেস্টুরেন্ট। এজন্য ঢাকা থেকে অনেকেই এখন ছুটছেন মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের আন্ধারমানিক নামক গ্রামে।
বর্তমানে সেখানে আছে দু’টি ভাসমান রেস্টুরেন্ট। একটি ‘ড্রিম পদ্মা ভাসমান রেস্টুরেন্ট’ ও অন্যটি ‘পদ্মাবাড়ি ভাসমান রেস্টুরেন্ট’। পদ্মা পাড়ের এই রেস্টুরেন্টে যাওয়ার পথেই চোখে পড়বে রাস্তার দু’পাশের সারি সারি গাছ।
একইসঙ্গে খাল-বিল ও নদীর সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। নদী পাড়ে গেলেই দেখতে পাবেন ভাসমান রেস্টুরেন্টটি। ‘ড্রিম পদ্মা ভাসমান রেস্টুরেন্ট’টি প্রায় ১৫০টি ড্রাম দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
এই রেস্টুরেন্টের ৪ কোণা শক্ত করে দড়ি দিয়ে বাঁধা আছে নদীর পাড়ে। নদীর পানি ওঠা নামার সঙ্গে সঙ্গে রেস্টুরেন্টটিও তার অবস্থান পরিবর্তন করে।
Advertisement
এই রেস্টুরেন্টে পেয়ে যাবেন চাইনিজ ও থাই খাবার। দামও কিন্তু খুব বেশি নয়। ৩০০-৪০০ টাকায় দু’জন ভরপেট খেতে পারবেন।
নদীর তীরে বসেই আপনি নদীর বিস্ময়কর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। কিছুক্ষণ পরপরই দেখতে পাবেন জেলেদের ব্যস্ততা। সকাল বেলা এই ঘাটে গেলে কিনতে পারবেন নানা প্রজাতির ছোট-বড় পদ্মার টাটকা মাছ।
পদ্মা পাড়ের এই স্থানে আরও একটি রেস্টুরেন্ট আছে। নাম ‘পদ্মা বাড়ি ভাসমান রেস্টুরেন্ট’। প্রথমটির চেয়েও এটি বেশি বড় ও গোছানো। আর নির্মাণও বেশ মজবুত।
একদিনেই ঢাকার আশেপাশে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করলে যেতে পারেন পদ্মা পাড়ের ভাসমান নদীতে।
ঢাকার গুলিস্তান থেকে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের বাস পেয়ে যাবেন। হরিরামপুর থেকে খুব সহজেই আন্দারমানিক ঘাটে পৌঁছাতে পারবেন।
জেএমএস/জিকেএস