অবশেষে জাপানের রাজকুমারীর বিয়ে নিয়ে চলা কয়েক বছরের বিতর্কের অবসান হলো। বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন রাজকুমারী মাকো ও সাধারণ পরিবারে জন্ম নেওয়া তার সহপাঠী ও দীর্ঘদিনের বন্ধু কেই কোমুরো। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ( ২৬ অক্টোবর) তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রিন্সেস মাকো বঞ্চিত হলেন রাজকীয় সব অধিকার থেকে। খবর বিবিসির।
Advertisement
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, প্রিন্সেস মাকো বিয়ের রেজিস্ট্রি করার জন্য তার টোকিওর বাড়ি থেকে বের হন স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে।
নিয়ম অনুযায়ী, জাপানি রাজবংশের বাইরে সাধারণ পরিবারের কাউকে বিয়ে করলে রাজপুত্র কিংবা রাজকুমারীকে রাজকীয় পদমর্যাদা হারাতে হয় এবং রাজপ্রাসাদের সবকিছু থেকে বঞ্চিত হন।
সহপাঠীর সঙ্গে প্রেম করলেও বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন ছিল রাজকুমারী মাকোর জন্য। কিন্তু রাজপ্রসাদের জৌলুস জীবনযাপন ছেড়ে সাধারণ ঘরের ছেলেকেই বিয়ে করলেন তিনি।
Advertisement
নব দম্পতি একটি সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে যেখানে তারা একটি সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী বিবৃতি দেবেন এবং আগে থেকে জমা দেওয়া পাঁচটি নির্বাচিত প্রশ্নের লিখিত উত্তর দেবেন। জাপানের রাজপ্রাসাদের ইম্পেরিয়াল হাউজহোল্ড এজেন্সি জানিয়েছে, এ কারণে প্রিন্সেস মাকোর মধ্যে এক ধরনের উত্তেজনা কাজ করছে।
এর আগে শনিবার (২৩ অক্টোবর) জাপানের রাজকুমারী মাকোর ৩০তম জন্মদিন ছিল। শেষবারের মতো রাজপ্রাসাদে জন্মদিন পালন করেন তিনি।
২০১২ সালে জাপানের ইন্টারন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান ইউনিভার্সিটিতে পরিচয় হয় প্রিন্সেস মাকো ও কেই কোমুরোর। এরপর পরিণয়। ২০১৭ সালে তাদের বাগদানও সম্পন্ন হয়।
প্রিন্সেস মাকো বাগদানের ঘোষণা দেওয়ার এক বছর পর ২০১৮ সালে তাদের বিয়ে করার পরিকল্পনার কথা জানা গিয়েছিল। কিন্তু তৈরি হয় নানা জটিলতা। পিছিয়ে যায় বিয়ের আয়োজন। দুই বছর পর অবশেষে তা মেনে নেন জাপানের ক্রাউন প্রিন্স ফুমিহিতো।
Advertisement
জানা গেছে, বিয়ের পর রাজপ্রসাদ ছেড়ে স্বামী কেই কোমুরোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাবেন প্রিন্সেস মাকো। সেখানে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন কোমুরো।
এসএনআর/জেআইএম