অর্থনীতি

শেয়ারবাজারে বড় ধস, দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন সূচক

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ধস হয়েছে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে গেছে।

Advertisement

এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই ধসের আভাস পাওয়া যায়। লেনদেন শুরুর ১৫ মিনিটের মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক ৫০ পয়েন্ট নেমে যায়। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে পতনের মাত্রা।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১২০ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৮৮৫ পয়েন্টে নেমে গেছে। গত ৩১ আগস্টের পর যা সর্বনিম্ন।

অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ২২ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৫৩ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৬৪৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

Advertisement

দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া মাত্র ৪৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩০৭টির। আর ২২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এদিন ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৪৭০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৪৭১ কোটি চার লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৬১ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্সের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৫৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বেক্সিমকোর ১০৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৮৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফরচুন সুজ।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ওরিয়ন ফার্মা, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, জিনেক্স ইনফোসিস, আইএফআইসি ব্যাংক, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ এবং এনআরবিসি ব্যাংক।

Advertisement

একইদিন দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪০০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৯৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৪৬টির এবং ১১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

শেয়ারবাজারে টানা দরপতন দেখা দেওয়ায় রাজধানীর মতিঝিলে বিক্ষোভ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। সোমবার লেনদেন শুরুর দেড় ঘণ্টার মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক ১০০ পয়েন্টের বেশি নেমে গেলে ব্রোকারেজ হাউজ থেকে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন বিনিয়োগকারীরা। বিক্ষোভ থেকে শেয়ারবাজারে দরপতনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে দায়ী করা হয়।

এমএএস/এমকেআর/এমএস