বিনোদন

৬৩ বছরে গানের কিংবদন্তি আলাউদ্দিন আলী

বাংলাদেশের সংগীতে জীবন্ত কিংবদন্তি আলাউদ্দিন আলী। একাধারে তিনি গীতিকার এবং সংগীত পরিচালক। আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর তার ৬৩তম জন্মদিন। জীবনের বিশেস এই দিনটেতে পরিবার, বন্ধু-স্বজন ও ভক্তদের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি। জাগো নিউজের পক্ষ থেকেও রইল অভিনন্দন।১৯৫২ সালের ২৪শে ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি থানার বাশবাড়ী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আলাউদ্দিন আলী। তার পিতা ওস্তাদ জাবেদ আলী ও ছোট চাচা সাদেক আলীর কাছে প্রথম সংগীতে শিক্ষা নেন। ওস্তাদ সাদেক আলী তাকে বেহালায় দীক্ষা দেন। এরপর বিভিন্ন চলচ্চিত্রে বেহালা বাজাতে গিয়ে সংগীত পরিচালনার উপর আগ্রহ সৃষ্টি হয় এই সংগীত পরিচালকের। ১৯৭২ সালে দেশাত্মবোধক গান ‘ও আমার বাংলা মা’ গানের মাধ্যমে জীবনে প্রথম সংগীত পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে তার। তারপর বাংলাদেশ টেলিভিশনে নিয়মিত কাজ করলে একই বছর ‘সন্ধিক্ষণ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রথম সিনেমাতে সংগীত পরিচালনা শুরু করেন তিনি।এর আগে ১৯৬৮ সালের দিকে তিনি আলতাফ মাহমুদের সহযোগী হিসেবে যন্ত্রসংগীত শিল্পী হয়ে কাজ করেন। এরপর প্রখ্যাত সুরকার আনোয়ার পারভেজসহ বিভিন্ন সুরকারের সহযোগী হিসেবেও কাজ করেছেন।আলাউদ্দিন আলী ১৯৭৫ সালে সংগীত পরিচালনা করে বেশ প্রশংসিত হন। তিনি খ্যাতিমান পরিচালক গৌতম ঘোষ পরিচালিত ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। এছাড়াও তিনি গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৯), সুন্দরী (১৯৮০), কসাই এবং যোগাযোগ চলচ্চিত্রের জন্য সংগীত পরিচালনা করেছেন।সংগীতের এই সাধক সাম্প্রতিককালে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন। তাকে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। সেখানে চিকিৎসা শেষে বর্তমানে সুস্থই রয়েছেন আলাউদ্দিন আলী।সব মিলিয়ে প্রায় ৩০০টিরও অধিক চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালক হিসেবে ৭ বার এবং শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে ১ বারসহ মোট ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি। এছাড়াও দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ভূষিত হয়েছেন নানান সম্মাননা ও স্বীকৃতিতে।এলএ/এমএস

Advertisement